ছবি: সংগৃহীত।
ডেঙ্গি মশার লার্ভা ধ্বংস করতে পরিত্যক্ত বাড়ি এবং আধবোজা ডোবাগুলিকে চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছে হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, এই ধরনের ২০০টি বাড়ি এবং ৫০টি ডোবাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের মতে, পরিত্যক্ত বাড়ি এবং আর্বজনা বোঝাই পুকুর ডেঙ্গি মশার উৎসস্থল। তাই উৎসেই লার্ভা ধ্বংসের অভিযান শুরু করতে চান তাঁরা। এ জন্য সতর্ক করা হচ্ছে বাড়ি ও পুকুরের মালিকদের।
হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য এবং সাফাই বিভাগের কর্মীরা যৌথ ভাবে ওই সব বাড়ি ও পুকুরে পৌঁছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা চিহ্নিত করে লার্ভিসাইড তেল ছড়িয়ে সে সব নষ্ট করছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরে সমীক্ষা চালিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা কিংবা বিপজ্জনক বোর্ড ঝোলানো বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্জ্য ও কচুরিপানায় ভরা পুকুরেরও হদিস মিলেছে।
এক পুর কর্তা জানাচ্ছেন, বাড়ি এবং পুকুরের মালিকদের নোটিস পাঠিয়ে প্রথমে পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তাঁদের বেশির ভাগ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তখন পুরসভার স্বাস্থ্য ও সাফাই দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সেই কাজ করছেন। প্রতি দলে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং এক জন করে সাফাইকর্মী থাকছেন।
হাওড়া পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘শহর জুড়ে মশার লার্ভা মারতে চারশোটি দল কাজে নেমেছে। দিনে চারটি করে বাড়ি এবং পুকুরে লার্ভা মারার কাজ চলছে। শুধু পরিত্যক্ত বাড়ি বা পুকুর নয়, শহরের অন্যত্রও ডেঙ্গির মশা যাতে না-জন্মাতে পারে, সে জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই হাওড়া শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গিতে মৃত্যুও ঘটে। এ বছর এখনও ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক কম। তবুও করোনা আবহে পুরসভা লার্ভা নিধন অভিযান শিথিল করতে রাজি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy