তখনও বেঁচে রামগিরিশ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফ দিয়ে লাইনে নেমে দৌড়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক প্রৌঢ়। আচমকাই পা পিছলে লাইনে পড়ে যান তিনি। সেই সময়ে ওই লাইন দিয়েই স্টেশনে ঢুকছিল একটি এক্সপ্রেস। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনটির চাকা ওই ব্যক্তির দু’পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। সোমবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন রামগিরিশ সাউ (৫০) নামে ওই ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। রাতে অস্ত্রোপচারের আগেই তিনি মারা যান।
রেল সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল ডাউন পটনা-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। ট্রেনের গতিও ছিল ধীর। ওই প্ল্যাটফর্মে তখন ট্রেনে ওঠার জন্য যাত্রীদের ঠাসা ভিড়। আচমকাই তাঁরা দেখেন, এক ব্যক্তি ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফ দিয়ে লাইনে নেমে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসা ট্রেনের পিছনের কামরার দিকে দৌড়চ্ছেন। ওই ভাবে দৌড়নোর সময়ে আচমকা হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ট্রেনের চাকা রামগিরিশের দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়।
দৃশ্যটি দেখে চিৎকার করে ওঠেন ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীরা। কেউ কেউ দু’হাতে চোখ ঢেকে বসে পড়েন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন আরপিএফ জওয়ানেরা। খবর দেওয়া হয় স্টেশন ম্যানেজারকেও। তাঁর নির্দেশে কিছু ক্ষণ পরেই রেলের উদ্ধারকারী দল এসে রামগিরিশকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রামগিরিশ হাওড়া স্টেশনে রেল মজদুর হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি মূলত ট্রেনের কামরায় ফেলে যাওয়া জলের বোতল, কাগজ, পার্সেলে পড়ে থাকা পিসবোর্ড সংগ্রহ করতেন। তদন্তকারীদের অনুমান, এ দিনও তিনি পটনা-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের পিছন দিকে পার্সেল ভ্যানে ওঠার জন্যই দৌড়চ্ছিলেন। কিন্তু পা পিছলে পড়ে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy