শ্রদ্ধা: ফরওয়ার্ড ব্লকের অধিবেশনে নেতাজি স্মরণ। নিজস্ব চিত্র
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক বাছতে এবং রাজ্য কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শনিবার থেকে দু’দিনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হল বৈদ্যবাটিতে। বিভিন্ন জেলার নেতা থেকে সাধারণ কর্মী— সব মহলেই জল্পনা, দলের পোড়খাওয়া নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় কি এ বার রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পাবেন? পেলেও সে ক্ষেত্রে ভোটাভুটি কি এড়ানো যাবে? নাকি, তাঁর ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াবেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের প্রবীণ নেতা নরেন দে!
অধিবেশন উপলক্ষে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির মোড় থেকেই সুসজ্জিত তোরণ বসেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আর প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের কাট-আউট মোড়ে মোড়ে। অধিবেশন-মঞ্চও ঢেলে সাজা হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রের খবর, এই অধিবেশনের দায়িত্ব বর্তেছে নরেন চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই। রাজ্যের ২১টি জেলার ২৬৫ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন অধিবেশনে। শেওড়াফুলি-বৈদ্যবাটি এলাকার পাঁচটি অনুষ্ঠান-বাড়ি ভাড়া করে রাখা হয়েছে প্রতিনিধিদের। শুধু উত্তরবঙ্গ থেকেই এসেছেন ৫৫ জন প্রতিনিধি। তাঁর মধ্যে কোচবিহারের ২৫ জন।
একদা কোচবিহারের জাঁদরেল ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা উদয়ন গুহ এখন দল পরিবর্তন করে শাসকদলের বিধায়ক। তাতে সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেন সেখান থেকে আগত এক প্রতিনিধি। দলের পরবর্তী দায়িত্বে কে আসছেন? ভোটাভুটি এড়ানো যাবে? এই প্রশ্নে ওই প্রতিনিধির সাফ জবাব, ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সাংবাদিকদের বলব কেন?’’ সম্পাদক পদে কে বসবেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দলের একাংশ মনে করছেন, ভোটাভুটি এড়াতে পারবেন না নরেন চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy