প্রতীকী ছবি।
জামাইয়ের দাবি মতো মোটরবাইক দিতে কিছু দিন দেরি হয়েছিল শ্বশুরের। অভিযোগ, সে কারণে উঠতে বসতে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার সহ্য করতে হত তরুণী গৃহবধূকে। বেলুড়ের চাঁদমারি এলাকায় সোমবার রাতে শ্রাবণী হালদার (২২) নামে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে শ্রাবণীর পরিবার। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্তেরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নিশ্চিন্দা থানায় সোমবার রাতে শ্রাবণীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে, পণের জন্য শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত মারধর করা হত তাঁকে। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলুড়ের চাঁদমারীর বাসিন্দা মহাদেব কর্মকারের মেয়ে শ্রাবণীর সঙ্গে বছর দু’য়ের আগে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকার বাসিন্দা অনুপম হালদারের। তাঁদের ৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শ্রাবণীর উপরে অত্যাচার চালাত অনুপম এবং তাঁর পরিবার। সম্প্রতি মোটরবাইকের জন্য অত্যাচার হচ্ছিল।
মহাদেববাবুর দাবি, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শ্রাবণীর সঙ্গে তাঁদের ফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। মহাদেববাবু বলেন, ‘‘তখনই মেয়ে বলছিল যে, ওর উপরে খুব অত্যাচার করছে অনুপম। তাই মেয়েকে আমাদের কাছে চলে আসতেও বলেছিলাম।’’ অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই অনুপমেরা ফোন করে খবর দেন যে, শ্রাবণী গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয় মহাদেববাবুদের। খহাসপাতালে ছোটেন ওই তরুণীর বাপের বাড়ির লোকজন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে বচসা বাধে অনুপমদের। শুরু হয় হাতাহাতিও। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই পালিয়ে যান অনুপমেরা।
চাঁদমারী এলাকার কাছেই রয়েছে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে না গিয়ে উত্তরপাড়া হাসপাতালে কেন শ্রাবণীকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ওই গৃহবধূর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy