উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে। আছেন তিন জন শল্য চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও আরামবাগ মহকুমা হাসাপাতলে দীর্ঘদিন ধরে সবরকম অস্ত্রোপচার বন্ধ।
রোগী এবং স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ফাইমোসিস, হার্নিয়া, হাইড্রোসিলের মতো মামুলি কিছু অস্ত্রোপ্রচার মাঝেমধ্যে হলেও অ্যাপেন্ডিক্স রোগীদের অধিকাংশ সময় কারণে ফিরে যেতে হয়। গলব্লাডার অস্ত্রোপ্রচার গত চার বছর ধরে একেবারেই বন্ধ। যার ফলে অতিরিক্ত খরচ করে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের পরিষেবা নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
মহকুমা হাসপাতালে যে সব অস্ত্রোপ্রচার হওয়ার কথা সেগুলি না হওয়ায় শল্য চিকিৎসকদের অনীহা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর উদাসীনতাকে দায়ী করে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভও হয়েছে বেশ কয়েকবার আছে। আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে অস্ত্রোপ্রচার সংক্রান্ত পরিষেবার ঘাটতির কথা স্বীকার করে করেছেন সুপার শিশির নস্কর। তিনি বলেন, ‘‘আমি বেশিদিন এখানে আসিনি। তবে মহকুমা হাসপাতাল স্তরে সমস্ত অস্ত্রোপ্রচারের ক্ষেত্রেই গতি ফেরানো হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চালু করা হবে। এতদিন কেন তা বন্ধ ছিল তা আমার জানা নেই।’’
প্রসঙ্গত, শুধু মহকুমার ছ’টি ব্লকের মানুষই নন, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল পাশের বর্ধমান,বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলার মানুষও। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মহকুমা হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যাসংখ্যা ২৬২টি। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে রোগীর চাপ থাকে প্রায় ৪০০র উপর। মেঝেতে, বারান্দায় কম্বল পেতে শয্যা করে রোগী রাখতচে হচ্ছে। শল্য বিভাগে রোগী ভর্তি হন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন।
হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকেরা অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং গলব্লাডার অস্ত্রোপ্রচার কেন বন্ধ রয়েছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২০১২ সাল থেকে মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনাই শল্য চিকিৎসকদের অস্ত্রোপ্রচারে অনীহার মূল কারণ।
হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মনে হয় চিকিৎসকদের আত্মবিশ্বাসে খামতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। তবে ওই হাসপাতালে আরও শল্য চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি আর সমস্যা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy