Advertisement
০২ জুন ২০২৪

ভিড় বাড়ছে তারকেশ্বরে নজরদারি শুরু অ্যাপে

রাস্তাঘাট থেকে বন্যার জল নেমেছে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে বাঁক কাঁধে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে তারকেশ্বরে। পুণ্যার্থীরা বেশির ভাগই বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে হেঁটে তারকেশ্বরে যান।

নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল তুলছেন ভক্তেরা। ইনসেটে, শ্রাবণী মেলার নিরাপত্তা দেখভালে পুলিশের মোবাইল অ্যাপ। —নিজস্ব চিত্র।

নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল তুলছেন ভক্তেরা। ইনসেটে, শ্রাবণী মেলার নিরাপত্তা দেখভালে পুলিশের মোবাইল অ্যাপ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৫ ০২:০০
Share: Save:

রাস্তাঘাট থেকে বন্যার জল নেমেছে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে বাঁক কাঁধে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে তারকেশ্বরে। পুণ্যার্থীরা বেশির ভাগই বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে হেঁটে তারকেশ্বরে যান। সেই উপলক্ষে বৈদ্যবাটি চৌমাথা থেকে ওই ঘাট পর্যন্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও চলছে পুলিশের নজরদারি।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্রাবণী মেলার এক মাসে অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ নিমাইতীর্থ-সহ বৈদ্যবাটি পুর এলাকার অন্তত ৯টি ঘাট থেকে জল নেন। তবে, ভি়ড় বেশি থাকে নিমাইতীর্থ ঘাটেই। বিশেষত শনি, রবি এবং সোমবার ওই ঘাটে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। নিরাপত্তার কারণে দু’বছর ধরে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে ওই ঘাট এবং সংলগ্ন রাস্তায়। এ বার সেই ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে। তা ছাড়া, ‘CCTV P2P’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপসের সৌজন্যে এ বার অফিসে বসেই ওই ঘাট আর সংলগ্ন রাস্তার ছবি দেখতে পাচ্ছেন পুলিশ অফিসাররা। ওই অ্যাপসের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে ঘাটে বা রাস্তায় লাগানো সিসিক্যামেরা। তাতেই হাতের মুঠোয় চলে আসছে সেই সব জায়গার টাটকা ছবি।

জেলা পুলিশের দাবি, এই মোবাইল পরিষেবায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা অনেকটাই দূর হবে। এতে সিসিক্যামেরার আওতায় থাকা সমস্ত জায়গার পুলিশি ব্যবস্থা তদারকিতে যেমন সুবিধা হচ্ছে, তেমনি অন্য জায়গা থেকেও দিব্যি নজরদারি চালানো যাচ্ছে। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ভিড় সামাল দেওয়ার সময় বিশেষ কোনও জায়গায় আরও বেশি পুলিশ মোতায়েনের প্রয়োজন হলে মোবাইলে ছবি দেখেই সেই নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এ বার পকেটমারি, ছিনতাই, কেপমারি বা মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তায় যাতে কোনও শিথিলতা না থাকে, তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

পুলিশের পাশাপাশি পুরসভার তরফেও নিরাপত্তার জন্য পুরুষ এবং মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। সচিত্র পরিচয়পত্র ছা়ড়া ঘাটে নেমে পুজোর সামগ্রী বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জলযাত্রীদের সচেতন করতে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। গঙ্গায় নজরদারি চালানোর জন্য লঞ্চও নামানো হয়েছে। মজুত থাকছে স্পিডবোট। বহু পুণ্যার্থী বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর ১২ নম্বর রুট ধরে হেঁটে মন্দিরে পৌঁছন। তাঁদের চলাচলের সুবিধার্থে এবং দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ওই রুটে শনিবার দুপুর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। অন্য গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারকেশ্বর মন্দির চত্বরেও সিসিটিভি বসানো হয়েছে। দুধপুকুরে থাকছে লাইফবোট। থাকছে মেডিক্যাল টিম।

তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত জানান, এ বারেও ২৪ ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছে পুরসভা। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত শৌচাগারের। মন্দির চত্বর-সহ গোটা এলাকা সব সময় পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করা হবে। নিমাইতীর্থ ঘাট মেলা কমিটির সম্পাদক কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ এবং পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঘাটে নজরদারি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Huge Tarakeswar civic volunteer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE