প্রতীকী ছবি।
ফোনে আর্থিক পুরস্কার জেতার কথা বলে এক মাইক ব্যবসায়ী ও তাঁর মায়ের এটিএম কার্ডের পিন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ঘোষ ওরফে অনিমেষ নামে পান্ডুয়ার নীরদগড়ের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী ফোনটি পেয়েছিলেন। তাঁর কিছুক্ষণের মধ্যেই মোবাইলে ব্যাঙ্কের মেসেজের মাধ্যমে তাঁর টাকা উঠে যাওয়ার কথা জানতে পারেন বিদ্যুৎবাবু। থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই জাতীয় ফোন এলেই সাধারণ মানুষকে থানায় জানানোর জন্য নানা ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তবু মানুষ ফাঁদে পা দিচ্ছেন। যে মোবাইল ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করে, কাজ হাসিলের পরে সেই ফোনের ‘সিম’ বন্ধ করে দেয় তারা। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। যে নম্বর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করা হয়েছিল, সেই নম্বরটির খোঁজ চলছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিন্ রাজ্যের লোক এমন ধরনের প্রতারণা করে।’’
মা ও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বিদ্যুৎবাবুর সংসার। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা চলায় সংসার চালাতে তিনি হিমসিম খাচ্ছেন বলে জানান। এই অবস্থায় জমানো ওই টাকা চলে যাওয়ায় তিনি মুষড়ে পড়েছেন। বিদ্যুৎবাবু জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর মায়ের মোবাইলে ফোনটা আসে। বিদ্যুৎবাবু ফোন ধরেন। তিনি আরও জানান, ফোনের ও-প্রান্ত থেকে এক জন জানায়, একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার পুজোর প্রতিযোগিতায় মা ২২ হাজার ৯০০ টাকা জিতেছেন। সেই টাকা ওরা মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাবে। সেই কারণে মায়ের এবং আমার এটিএম পিন এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চায়। এর পরে দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৪০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
বিদ্যুৎবাবু বলেন, ‘‘কষ্ট করে টাকাটা জমিয়ে ছিলাম। তা-ও চলে গেল। এখন আর ওরা ফোন ধরছে না।’’
পান্ডুয়া-সহ হুগলির নানা প্রান্তে এমন প্রতারণার ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে। চলতি বছরে মাঝামাঝি পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে পান্ডুয়ারই এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা। সেই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে ধরতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy