আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ধূলাগড়ে তদন্তকেন্দ্র গড়ছে রাজ্য সরকার।
সাঁকরাইল থানার অধীনে নতুন এই তদন্তকেন্দ্র কাজ করবে। এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারই প্রেক্ষিতে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এখানে একটি তদন্তকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মাস চারেক আগে। ইতিমধ্যে এখানে দুষ্কৃতীদের দু’টি দলের মধ্যে সংঘর্ষে ভাঙচুর হয় বেশ কিছু বাড়ি এবং দোকানঘর। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ ওঠে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ধূলাগড়ে সাম্প্রতিক দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পরে চার মাস আগের পাঠানো ফাইল নিয়ে নাড়াচড়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্তকেন্দ্র চালু করা হবে।
ধূলাগড়ের কাছাকাছি কয়েকটি গ্রাম কয়েক বছর ধরে দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ থেকে পাড়ায় পাড়ায় সংঘর্ষের একাধিক ঘটনা ঘটেছে এখানে। ডোমজুড়, পাঁচলা এবং সাঁকরাইল এই তিনটি থানার প্রান্তসীমায় পড়ে এইসব এলাকা। তিনটি থানার সীমানা এলাকা হওয়ায় ভৌগোলিক সুবিধা নিয়ে পুলিশ এসে পৌঁছনোর আগেই দুষ্কৃতীরা অপরাধ করে বেরিয়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও নানা মহল থেকে এখানে একটি তদন্তকেন্দ্র গড়ার দাবি রয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনার পর সেই দাবি আরও জোরাল হতেই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে পুলিশ জোরদার টহলদারিও শুরু করেছে। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। অন্তত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের যুক্তি, যে এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে তা সাঁকরাইল থানার অধীন। এখান থেকে সাঁকরাইল থানার দূরত্ব অনেকটা। সেই কারণে এখানে সে ভাবে কোনও ‘সোর্স’ তৈরি করতে পারেনি সাঁকরাইল থানা। এই সব দুর্বলতাই এলাকার দুষ্কৃতীরা নিয়েছে বলে জেলা পুলিশ কর্তাদের একাংশের মত।
তবে জেলা পুলিশ কর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এখানে তদন্তকেন্দ্র চালু করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ সতর্ক আছে। কিন্তু দিনের পর দিন টহলদারি থাকবে না। তখন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যই তদন্তকেন্দ্র চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy