পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনতা শিবির চলছিল স্কুলে। সেখানেই খবর মেলে, এক কিশোরী অষ্টম শ্রেণিতে পাশ করার পরে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়নি। বাড়িতে তার বিয়ের তোড়জোড় চলছে। এর পরেই গত সোমবার ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক চাইল্ড লাইন, পুলিশ এবং জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (ডালসা) প্রতিনিধিদের নিয়ে শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের রাজ্যধরপুরে মেয়েটির বাড়িতে যান।
তাঁদের কাছে অবশ্য বিয়ের চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেননি বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজন। তাঁরা জানান, মেয়েটির বাবা ছোট কাজ করেন। আর্থিক অবস্থার কারণেই ওই কিশোরী নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়নি। মেয়েটি যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যায়, প্রশাসনের তরফে বাড়ির লোককে সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়। সে ক্ষেত্রে ওই কিশোরী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু সাবালিকা হওয়ার আগে তার বিয়ে দেওয়া হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। আঠেরো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে না বলে প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেন মেয়েটির পরিজনরা। বাল্যবিবাহ, নির্যাতন, পাচারের চেষ্টা প্রভৃতি ক্ষেত্রে কি ভাবে প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ করতে হবে তা নিয়ে সচেতনতা ছড়াতে হুগলি জেলায় বিভিন্ন স্কুলে শিবির করছে ডালসা এবং চাইল্ড লাইন। ডালসা সূত্রের দাবি, ‘সেভ চাইল্ডহুড’ (শৈশব বাঁচাও) নামে এই শিবিরের ফলে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। অনেকেই নিজেদের বা সহপাঠীদের সমস্যার কথা জানাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy