Advertisement
২১ মে ২০২৪
পুর নিগমের ভোট

শাসকের ঢক্কানিনাদ, হাঁক কম বিরোধীদের

ভোট-যুদ্ধের দামামা বেজেছিল প্রার্থী ঘোষণা হতেই। যুদ্ধের দু’দিন আগে দৃশ্যত ধামসা-মাদল বাজিয়ে মহামিছিল করে নিজেদের প্রস্তুতি জানান দিল শাসক দল। বৃহস্পতিবার বালির সেই মিছিলে পা মেলালেন তৃণমূলের জেলা থেকে রাজ্যস্তরের নেতারা।

শেষ বেলার প্রচার। সল্টলেকে আকাশ ঢেকেছে দলীয় পতাকায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

শেষ বেলার প্রচার। সল্টলেকে আকাশ ঢেকেছে দলীয় পতাকায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:২৩
Share: Save:

ভোট-যুদ্ধের দামামা বেজেছিল প্রার্থী ঘোষণা হতেই। যুদ্ধের দু’দিন আগে দৃশ্যত ধামসা-মাদল বাজিয়ে মহামিছিল করে নিজেদের প্রস্তুতি জানান দিল শাসক দল। বৃহস্পতিবার বালির সেই মিছিলে পা মেলালেন তৃণমূলের জেলা থেকে রাজ্যস্তরের নেতারা।

প্রচারের শেষ দিনে সে ভাবে ময়দানে দেখা গেল না বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, শাসকের সন্ত্রাসের জন্যই কেন্দ্রীয় ভাবে বড় মিছিল করা যায়নি। যদিও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বালিতে সিপিএম কমোড-কাণ্ডের ভয়ে পালিয়েছে। কমোড থেকে যে ভাবে কোটি টাকা মিলেছে, তার পরে ওঁদের মুখ দেখানোর অবস্থা নেই। বিজেপি-র সংগঠন নেই। আর কংগ্রেস তো ইতিহাস। সন্ত্রাসের কথা অবান্তর।’’ সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের জন্যই কিছু করা যাচ্ছে না, এটা অস্বীকার করা যায় না। তবে তৃণমূলের মহামিছিলে স্থানীয় লোক ছিল না বলেই ধামসা-মাদল বাজিয়ে বালির মানুষকে ডাকতে হয়েছে।’’ বিজেপি অবশ্য মিটিং-মিছিল করেনি।

এ দিন ঘুসুড়ির জায়সবাল হাসপাতাল থেকে বালিখাল পর্যন্ত তৃণমূলের মহামিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি অরূপ রায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র রথীন চক্রবর্তী, বিধায়ক অশোক ঘোষ, বাণী সিংহরায়-সহ বিভিন্ন মেয়র পারিষদ ও ১৬ জন প্রার্থী। পাঁচ কিমি জুড়ে মিছিলে ছিল ধামসা-মাদল। সেই সময়টা প্রচারে কাজে লাগিয়েছেন বলে দাবি করে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষেক শুভ্রজ্যোতি দাস বলেন, ‘‘ওঁরা যে সময়ে মিছিলের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন, তখন আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরও ভাল ভাবে প্রচার করেছি।’’

প্রচারে বাধা, মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিনয় অগ্রবাল। সেই মামলায় এ দিন হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, শনিবার প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী ও তাঁদের পরিজনদের এবং ভোটদাতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের আইনজীবী নয়নচাঁদ বিহানী কোর্টে জানান, সব গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকবে। প্রতি বুথে ভিডিও রেকর্ডিং ছাড়া যেখানে ভোটদাতা বেশি, সেই বুথে ওয়েবক্যাম লাগানো ট্যাব-কম্পিউটার থাকবে। বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী কমিশনকে সমস্ত বুথ ও গণনাকেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফি নির্দিষ্ট সময় সংরক্ষণ করতে বলেছেন।

হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, বালি-বেলুড়-লিলুয়া মিলিয়ে ১৬টি (৫১ থেকে ৬৬) ওয়ার্ডে ৫৭টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৯২টি বুথ। তিন জন ডিসি ছাড়াও প্রতিটি থানার দায়িত্বে এক জন এসিপি। সহযোগিতায় দু’জন করে ইনস্পেক্টর। বুথের দায়িত্বে এক জন করে এসআই বা এএসআই। থাকবেন সশস্ত্র কনস্টেবল, হোমগার্ডও। টহল দেবে ৯টি ‘আরটি মোবাইল’ ভ্যান, ৬টি এইচআরএফএস, ৩টি কুইক রেসপন্স টিম। মোট ১২টি জায়গায় নাকাবন্দি। সব মিলিয়ে এক হাজারের বেশি ফোর্স থাকছে বালির ভোটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE