প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাক চলাচলকে নিয়মে বাঁধতে চাইছে পুলিশ। ডানকুনি হাউজ়িং মোড়ের নিত্যকার যানজট মোকাবিলায় নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরে ওই মোড়ে যানজটে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। যানজট ছড়িয়ে পড়ছে চণ্ডীতলার দিকে কালীপুর মোড় পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা যানবাহন কার্যত নড়েনি। সমস্যা মোকাবিলায় শনিবার দুপুরে চণ্ডীতলা থানায় হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ এবং চন্দননগর কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা বৈঠকে বসেন। ট্রাক-মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ট্রাকের বেআইনি পার্কিং চলবে না। কলকাতাগামী ট্রাকগুলিকে নির্দিষ্ট সময়েই ডানকুনিতে আসতে হবে। এ নিয়ে মাইকে প্রচার করা হবে। সেই প্রচারে গুরুত্ব না-দিলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে ট্রাক-চালকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিঙ্গুরের বড়ার মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ট্রাক চলাচলে নজরদারি চালানো হবে।
জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের ডিএসপি (ট্র্যাফিক) অয়ন সাধু বলেন, ‘‘হুগলিতে কয়েকটি সেতুর সংস্কারের কাজ চলায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করাই পুলিশের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাই পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময়ের অনুশাসন ট্রাক-চালকদের মানতে হবে। ট্রাক-মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। পর্যায়ক্রমে যান চলাচলে যুক্ত অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গেও আমরা কথা বলব।’’
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে মোটা টাকা ‘টোল’ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু দিনের পর দিন কেন ডানকুনির যানজটে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে, এ প্রশ্ন তীব্র হচ্ছিলই। দিনের নির্দিষ্ট সময় বাদে কলকাতায় পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয় না। বর্তমানে সংস্কারের প্রয়োজনে টালা সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রাক চলছে ঘুরপথে। হুগলিরও কয়েকটি সেতু সংস্কার হচ্ছে। ফলে, ভিন্ জেলা এবং রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলি যাবে কোথায়? ওই জাতীয় সড়কে ‘লে বাই’ও (যেখানে ট্রাক দাঁডা়তে পারে) পর্যাপ্ত নেই বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বহু ট্রাক এসে জড়ো হচ্ছে ডানকুনিতে। অনেক ট্রাক আবার ওই জাতীয় সড়কের অন্যত্র বেআইনি ‘পার্কিং’ করছে। তার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
কিন্তু শুধু ট্রাক চলাচলে নজরদারি বাড়িয়েই কী সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?
পুলিশ জানিয়েছে, ডানকুনি এবং চণ্ডীতলার কালীপুরে মোড়ের টোটো এবং অটোস্ট্যান্ড সরানোর ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সরানো হতে পারে ডানকুনি হাউজ়িং মোড়ের বাসস্ট্যান্ডও। তা ছাড়া, হাওড়ার দিক থেকে বহু ট্রাক কালীপুরে ঢোকে। তার জেরেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই সব ট্রাক চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আনতে হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। এ দিনও একদফা কথা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy