জেলা বিচারকের অনুরোধেও কর্মবিরতি তুললেন না শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবীরা। ফলে পাঁচ দিন ধরে ওই আদালতে কোনও কাজই হচ্ছে না। ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীদের।
দেওয়ানি আইনজীবীদের সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে গত ২৬ মে ১০ দিনের কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালতে কাজের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এজলাসে আইনজীবীদের বসার চেয়ার অপ্রতুল। মাস দু’য়েক ধরে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক নেই। আদালতে পানীয় জলের অভাব। শৌচাগার না থাকায় মহিলাদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। এ ছাড়াও, দীর্ঘদিন ধরে ‘রেন্ট কন্ট্রোল’ সংক্রান্ত মামলা হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, এক মাস আগেই যৌথ সংগ্রাম কমিটির ডাকে তিন দিনের কর্মবিরতি ডাকা হয়েছিল পরিকাঠামো ঢেলে সাজার দাবিতে। জেলা বিচারক বিবেক চৌধুরী আদালতে এসে দাবি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দ্বিতীয় দিনেই কর্মবিরতি উঠে যায়।
এক মাসের মধ্যেই ফের কর্মবিরতি শুরু করায় আইনজীবীদের অনেকেই তা মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের আপত্তি অবশ্য ধোপে টেকেনি। সোমবার আন্দোলকারীদের এক প্রতিনিধি দল জেলা বিচারকের সঙ্গে দেখা করেন। আদালতের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। আইনজীবীদের একটি অংশ সূত্রে খবর, জেলা বিচারক কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। তাতে অবশ্য আইনজীবীরা রাজি হননি। ফলে মঙ্গলবারও তাঁরা কাজ করেননি।
বছর খানেক আগে আদালতে ঠান্ডা জলের যন্ত্র বসানো হয়। নতুন ভবনের এক তলা এবং দোতলায় শৌচাগার খুলে দেওয়া হয়। আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, জলের যন্ত্র সব সময় ভাল থাকে না। মঙ্গলবার গিয়ে দেখা গেল, আদালতের তরফে সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে যে, আদালতে শৌচাগার, বিশ্রামাগার এবং ঠান্ডা পানীয় জলের বন্দোবস্ত রয়েছে। একতলা ও দোতলায় পানীয় জল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্রামাগার দোতলায়।
বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা শ্যামল শ্রীমাণিকে কর্মবিরতি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নানা ধরণের সমস্যার কারণেই কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে। জেলা বিচারকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি সমস্যা মিটে যাবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্যই কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy