ডানকুনিতে পুর প্রশাসক বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন ৩ সদস্য। নিজস্ব চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেসুরো গাইছেন অনেক তৃণমূল নেতা কর্মী। সেই ছবি দেখা গেল হুগলির ডানকুনিতেও। ডানকুনি পুর প্রশাসক বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং ২ প্রাক্তন কাউন্সিলর মীনা কুমারী, প্রীতি গুপ্তা। এই ৩ জনই বর্তমান পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ডানকুনি পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অভ্রজ্যোতি পালের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন তাঁরা।
শুভেন্দু বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরই দেবাশিস ঘোষণা করেছিলেন, শুভেন্দুর পথই তাঁদের পথ। আর তার পরই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত। দেবাশিস পদত্যাগের পরেই তারই সুরে সুর মেলালেন ডানকুনি আর এক তৃণমূল নেতা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র। তিনিও বর্তমান পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য।
কৃষ্ণেন্দু বলেন, “উদ্দেশ্য যদি স্নান করা হয় তার জন্য অনেক ঘাটই আছে। যে ঘাট ভেঙে গিয়েছে যাতে শ্যাওলা জমেছে সেখানে কেউ নামবে না।” আগের বার ডানকুনির পুর ভোটে তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়ান কৃষ্ণেন্দু। পরে ভোটে জিতে আবার তৃণমূলে যোগ দেন। শুভেন্দু বিধায়ক পদ ছাড়ার পর কৃষ্ণেন্দুও মুখ খুলেছেন। প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাশাপাশি পুরসভার দুর্নীতি নিয়েও সুর চড়িয়েছেন।
আর দেবাশিস, কৃষ্ণেন্দু মিত্রদের পাল্টা জাবাব দিয়ে পুর প্রশাসক হাসিনা শবমন বলেন, ‘‘এত দিন সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে এখন ওঁরা এ সব বলছেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই ওঁদের সুর বদলাতে থাকে।”। দুর্নীতি প্রসঙ্গে শবনম বলেন, “এখন কেন অভিযোগ করছেন? অডিট হল তখন ধরা পড়ল না। আর দুর্নীতি হয়ে থাকলে তখনই কেন বেরিয়ে গেলেন না? শেষ পর্যন্ত সব কিছু ভোগ করলেন। যাঁরা তৃণমূল করি তাঁরা দিনে এক রকম আর রাতে এক রকম করি না।” চণ্ডীতলা বিধানসভায় তৃণমূলই জিতবে দাবি করে হাসিনা বলেন, ‘‘যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন তত দিন তৃণমূলে থাকব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy