আহত পুলিশকর্মী সুমন্ত দাস।
অভিযুক্তকে ধরতে গেলে পুলিশকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু হয়। কিন্তু সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঝুমঝুম নস্কর নামে ওই মহিলা হাওড়া জেলার তফসিলি জাতি ও উপজাতি সেলের সভাপতি। বিরোধীদের অভিযোগ, ঝুমঝুম সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দারের অনুগামী হওয়ার কারণেই পুলিশ তাঁকে ধরছে না।
মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ঝুমঝুমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল স্যুইচড অফ ছিল। তবে বিধায়ক শীতলবাবু ঝুমঝুমকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘একটা নিরীহ ছেলেকে মিথ্যা মমলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাকে পুলিশ ধরতে গেলে ঝুমঝুম প্রতিবাদ করেছিলেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। তবে তিনি পুলিশকে হেনস্থা করেননি।’’
কী হয়েছিল সোমবার রাতে?
পুলিশ জানিয়েছে, সাঁককরাইলের আড়়গড়ি এলাকার বাসিন্দা ফিরোজা সেখ ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, স্থানীয় কিছু সমস্যা নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁর স্বামীকে মারধর করেছে প্রতিবেশী করে রবিশঙ্কর দাস। এমনকী তাঁর গায়ে সে অ্যাসিডও ছোড়ে। তারপর রবিশঙ্করকে খুঁজছিল পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ টহলদারির সময় দুইল্যাতে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে রবিশঙ্করকে দেখতে পায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন ঝুমঝুম। পুলিশের হাত থেকে রবিশংকরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশকে হেনস্থা ও কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ রবিশঙ্করকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিশঙ্করের বিরুদ্ধে বছরখানেক আগে তোলাবাজিরও অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। তাকে গ্রেফতার করে আনার পরে ঝুমঝুমের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করে পুলিশ।-নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy