হুগলিতে বন্ধের মিশ্র প্রভাব। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও পুরোপুরি, কোথাও আংশিক বনধের ছবি দেখা গেল হুগলি জেলায়। কোথাও কোথাও রেল বা রাস্তা অবরোধ হলেও তা বেশি ক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি। বড় রকমের কোনও গোলমালের খবরও দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে পান্ডুয়ায় একটি এটিএম ভাঙচুর হয়।
জানা গিয়েছে, পান্ডুয়ার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এক এটিএম থেকে গ্রাহকদের টাকা তুলতে দেখে হামলা চালানো হয়। বন্ধের সমর্থনে বার হওয়া মিছিল থেকেই কয়েকজন এসে পান্ডুয়ার হাটতলায় ওই এটিএমের কাচের দরজা ভেঙে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ধর্মঘট সমর্থকদের হটিয়ে দেয়।
জেলার বেশির ভাগ জায়গাতেই বৃহস্পতিবার দোকান বাজার বন্ধ থাকতে দেখা যায়। যে কয়েকটি কারখানা খোলা ছিল তাতেও শ্রমিকদের হাজিরা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। ডানকুনি শিল্পাঞ্চলে বন্ধের ভাল প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রায় সর্বত্রই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ছিল কম। শহরাঞ্চলে কিছু টোটো চলতে দেখা গেলেও বাস, অটো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। লঞ্চ পরিষেবাও স্বাভাবিক ছিল না কোথাও।
শহরতলীর ট্রেন চলেছে সকাল থেকে। তবে পান্ডুয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি ও হিন্দমোটর স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন অবরোধ করে বন্ধ সমর্থকরা। চণ্ডীতলা বাজারে ধর্মঘট সমর্থকরা রাস্তায় নেমে যানবাহন বন্ধ করেন। পান্ডুয়া বাজারে জোর করে দোকানের শাটার নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পান্ডুয়ায় বন্ধ সমর্থকদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন।
জেলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে স্বাভাবিক দিনের মতো না হলেও ভালই গাড়ি চলেছে। ট্রেন বন্ধ থাকবে ধরে নিয়ে অনেকেই প্রাইভেট বা ভাড়া গাড়িতে কর্মস্থলে গিয়েছেন। তবে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে পথ অবরোধের খবর আসে। পান্ডুয়া কালনা মোড়ে জিটি রোড, পোলবার সুগন্ধা মোড়ে দিল্লি রোড অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকরা। পারডানকুনিতেও অবরোধ হয়। আরামবাগে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে, চুঁচুড়ায় মুখ্য ডাকঘর বন্ধ করতে গেলে পুলিশে সঙ্গে বচসা হয় বন্ধ সমর্থকদের। তবে দুপুর পর্যন্ত কোথাও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy