গত তিন দিনে হুগলি শিল্পাঞ্চলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন দু’জন। পেটে গুলি লেগে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক জন। রবিবার দুপুরে হুগলির বৈদ্যবাটীতে জিটি রোড লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠের গ্যালারিতে অজিত দাস (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাড়ি বৈদ্যবাটী পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নার্সারি রোডে। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে রিষড়ার ৩ নম্বর নতুন গ্রামে রতন বর্মন (৩৬) নামে এক যুবককে মেছোভেড়িতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই রাতেই রিষড়ার পঞ্চাননতলায় জিটি রোডের উপর বাড়িতে ঢোকার সময়ে রাজীব সাউ নামে এক যুবককে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বৈদ্যবাটীর ক্লাবের মাঠে গ্যালারিতে মদের আসর বসেছিল। ক্লাবের অবশ্য সেখানে কেউ ছিলেন না। ওই আসরেই কোনও কারণে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। সেই সময় খুব কাছ থেকে ওই যুবককে বুকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। লোক জড়ো হওয়ার আগেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ওই ঘটনার খবর চাউর হতেই সেখানে ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শ্রীরমাপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে শ্রীরামপুরে শশিভূষণ ঘোষ লেনেও এক তরুণকে গুলি করা হয়েছিল। রতন বর্মন রিষড়া স্টেশন চত্বরে ফল বিক্রি করতেন। বাড়ি স্থানীয় নেতাজি পল্লীতে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান মদের আসরের গোলমালের পরিণতিতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িতদের কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অনুমান, তাঁর মুখের ভিতর বন্দুক ঢুকিয়ে গুলি করা হয়। গুলি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” রাজীব সাউকে খুনের চেষ্টায় রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশের অনুমান ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy