তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ বাগনান-২ ব্লকের মুগকল্যাণ হাইস্কুলের টিচার-ইনচার্জ অশোক মুন্সিকে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষকদের একাংশ। এর ফলে, এ দিন দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি টেস্ট পরীক্ষা দেরিতে শুরু হয়। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কুল পরিচালন সমিতি এবং অভিভাবকেরাও।
স্কুলের তরফে বিক্ষোভের কথা শিক্ষা দফতরকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অশোকবাবু বলেন, “বিক্ষোভের জেরে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। শিক্ষা দফতরে জানাব বলায় বিক্ষোভরত শিক্ষকেরা শান্ত হন। শেষমেশ পৌনে ১২টা নাগাদ পরীক্ষা শুরু হয়।” ব্লক স্কুল পরিদর্শক সন্তু ফৌজদার বলেন, “ওই স্কুলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। যদি শিক্ষকেরা এমন কাজ করে থাকেন, তা হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ নিয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের কেউই কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
স্কুল সূত্রে খবর, ১৯ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা চলছে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রদের। বেলা ১১টা থেকে সওয়া ২টো পর্যন্ত পরীক্ষা হচ্ছে। আগের বছরগুলিতে শিক্ষকেরা পরীক্ষার পরে ৩টে নাগাদ বাড়ি চলে যেতেন। তাতে অনেক কাজ জমে যেত বলে স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, সাড়ে চারটের পরে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা বাড়ি যাবেন। মৌখিক ভাবে সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবারই নির্দেশ অমান্য করে স্কুলের ৩৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৮-২০ জন আড়াইটে-তিনটে নাগাদ বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ। যাঁরা সে দিন চলে গিয়েছিলেন অশোকবাবু হাজিরা-খাতায় তাঁদের নামের পাশে লাল কালিতে জিজ্ঞাসা-চিহ্ন দিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকেরা স্কুলে এসে তাঁদের নামের পাশে ওই চিহ্ন দেখে রেগে যান। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে অশোকবাবুকে ঘিরে শুরু করেন বিক্ষোভ। পরীক্ষা নিতেও অস্বীকার করেন। এ দিন অবশ্য শুধু দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদেরই পরীক্ষা ছিল। অশোকবাবুকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন ওই শিক্ষকেরা। চলে আসেন পরিচালন সমিতির সদস্য এবং অভিভাবকেরা। স্কুল সম্পাদক তাপস রায়চৌধুরী বলেন, “ওই শিক্ষকদের এমনটা করা মোটেই উচিত হয়নি। শীঘ্রই পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকব। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy