Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪
এক বছর ধরে খারাপ গভীর নলকূপ

বাগনানে বোরোচাষ নিয়ে মাথায় হাত চাষির

সেচের জন্য একমাত্র গভীর নলকূপটি প্রায় এক বছর খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে চলতি বোরো চাষের মরসুমে হাওড়ার বাগনানের জোকা এলাকায় তিন-চারশো বিঘা জমিতে ধান চাষ বন্ধ। বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। বছর তিরিশেক আগে তৈরি এই গভীর নলকূপটি কয়েক বছর ধরেই ঠিকমতো কাজ করছিল না।

অকেজো নলকূপ। —নিজস্ব চিত্র

অকেজো নলকূপ। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগনান শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৬
Share: Save:

সেচের জন্য একমাত্র গভীর নলকূপটি প্রায় এক বছর খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে চলতি বোরো চাষের মরসুমে হাওড়ার বাগনানের জোকা এলাকায় তিন-চারশো বিঘা জমিতে ধান চাষ বন্ধ। বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। বছর তিরিশেক আগে তৈরি এই গভীর নলকূপটি কয়েক বছর ধরেই ঠিকমতো কাজ করছিল না। কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। ঠিকমতো জল না পওয়ায় ২-৩ বছর ধরেই চাষিরা বোরোচাষ কমিয়ে দিয়েছিলেন। গত মরসুমেও চাষের সময় কম পরিমাণ হলেও জল তোলা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে একেবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে ওই গভীর নলকূপটি। চাষিদের অভিযোগ, কৃষি-সেচ দফতরে বার বার সম,স্যার কথা জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি।

কৃষি-সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর তারা গভীর নলকূপটি সংস্কারের চেষ্টা করেছিল। ফিল্টার পাইপে জমে যাওয়া বালি-কাদা পরিষ্কারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ফিল্টার পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই গভীর নলকূপটি সারানো সম্ভব নয়। কৃষি-সেচ দফতরের হাওড়া জেলার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সন্দীপ পাল বলেন, “ফিল্টার পাইপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই গভীর নলকূপ আর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আমরা ওই এলাকায় নতুন একটি গভীর নলকূপ তৈরির জন্য জল-সম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠিয়েছি। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সেটি তৈরির কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটির দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস মন্ত্রক দিয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনানের বাঙালপুর পঞ্চায়েতের অধীন জোকা এলাকায় আমন ও বোরো দু’ধরনের চাষই হত। বোরো চাষ পুরোটাই ওই গভীর নলকূপের উপর নির্ভরশীল। কারণ, এই এলাকা দামোদর নদী সংলগ্ন হলেও সেখান থেকে জল তোলার কোনও ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় এ বছর বোরো চাষ না করতে পারায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। জোকা এলাকার এক চাষি মোহন ধাড়া বলেন, “পাঁচ বিঘা জমিতে আমি ধান চাষ করতাম। এ বার জলের সমস্যায় আর চাষ করতে পারব না। অথচ এই চাষ করলে সারা বছরের ধান পাওয়া যেত। কী ভাবে সংসার চালাব ভেবে পাচ্ছি না।” একই সমস্যা ভোলানাথ মাহাতো, প্রতাপ মেটে, অরবিন্দ মণ্ডলের। বাঙালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আসিক রহমান বলেন, “এলাকায় সেচের সমস্যার কথা কৃষি-সেচ দফতরে জানিয়েছিলাম। তাঁরা নতুন একটি গভীর নলকূপ তৈরি করবে বলেছেন। নলকূপটি যাতে দ্রুত তৈরি হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal bagnan bore well
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE