স্ত্রীকে নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে ডানকুনি থানার পুলিশ।
শনিবার সকালে ডানকুনির গোবরার শিবতলা রুইদাসপাড়ায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘরের সিলিং পাখা থেকে গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শর্মিলা রুইদাস (২৫) নামে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন জানান, বছর আটেক আগে চণ্ডীতলার শর্মিলার সঙ্গে গোবরার বাসিন্দা সঞ্জয় রুইদাসের বিয়ে হয়। সঞ্জয় ছোটখাটো কাজ করেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন শর্মিলার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাবা রবি ঠাকুর জানান, জামাইয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেন ডানকুনি থানার ওসি প্রদীপ দাঁ। রবিবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্য দিকে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডানকুনির রামকৃষ্ণপাড়ায় মহুয়া ঘোষ (২৪) নামে এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। পুলিশ জানায়, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মহুয়ার বাপের বাড়ি ভবানীপুরে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাবা বিমলকুমার দে ডানকুনি থানায় জামাই দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন। ঘটনার দিন দুপুরে স্বামীর সঙ্গে মহুয়ার ঝগড়া হয়। তার পরেই তিনি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্তকারী অফিসারদের কাছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের আরও দাবি, ঝগড়ার সময় দীপঙ্করই তাঁর হাতে দেশলাই তুলে দেন। পরে স্ত্রীকে পুড়তে দেখে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে একই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই যুবক। এর পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy