উন্নত মানের পাটতন্তু পাওয়া যাচ্ছে না বলে চটকল-মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। ভাল মানের পাট খুব বেশি না-মেলায় কেন্দ্রের চহিদা অনুযায়ী চটের বস্তাও তৈরি করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে উন্নত মানের পাটবীজ বণ্টনের উপরে জোর দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক। শিল্প মহলের খবর, জাতীয় বীজ নিগমকে এই বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাট চাষের জন্য বছরে প্রায় ৬০০০ টন বীজ লাগে। কিন্তু তার খুব সামান্য অংশই পরীক্ষিত এবং উন্নত মানের হয়। কৃষকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব থাকায় বাজারে খারাপ বীজও প্রচুর বিক্রি হয়। চাষিরাও সেগুলি ব্যবহার করেন। ফলে পাটের উৎপাদন মার খায়, পাটতন্তুর মানও খুব একটা ভাল হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার এখন এই সমস্যার সমাধানেই বেশি জোর দিচ্ছে। পাট নিগম ও জাতীয় পাট পর্ষদকে বীজ বণ্টনের বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাষিদের সচেতন করার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষিত উন্নত মানের বীজ যাতে অল্প দামের মধ্যে তাঁদের জোগানো যায়, সেই ব্যাপারে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিতে বলা হয়েছে।
শিল্প মহলের অভিযোগ, ভাল বীজ বণ্টনের জন্য কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক ‘আই-কেয়ার’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসমের মতো পাট উৎপাদক রাজ্যে কম দামে ভাল বীজ চাষিদের মধ্যে বিলি করা। কিন্তু আই-কেয়ার প্রকল্পের জন্য যে-পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়নি। ফলে প্রকল্পটি সফল হয়নি। চটকল-মালিকদের বক্তব্য, উন্নত মানের বীজের চাষ সর্বত্র চালু করতে না-পারলে উঁচু মানের পাটতন্তু পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy