ডাক দিয়েছিল কলকাতাই। দিল্লি, মুম্বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা, করাচি থেকেও সাড়া মিলল তাতে।
ডাকটা যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় একজোট হওয়ার।
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের যৌন সংখ্যালঘু সমাজ তথা যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সক্রিয় সমাজকর্মীদের মঞ্চ গড়ার উদ্যোগের পাশে রয়েছে তিন দেশের মার্কিন কনস্যুলেটগুলি। এ দেশে যৌন সংখ্যালঘুরা তবু কমবেশি সামনে আসছেন। পাকিস্তান, বাংলাদেশে কিন্তু পরিস্থিতি সঙ্গিন। পারস্পরিক আলোচনার নিরাপদ জায়গা জুগিয়ে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে আমেরিকার কনস্যুলেটগুলি। ‘‘তবে একসঙ্গে লড়াইয়ের মঞ্চ গড়তে হবে ওঁদের নিজেদেরই,’’ বললেন কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল।
২০১৫ সালে সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেয়েছে আমেরিকায়। ভারত ও বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গকে সরকার স্বীকৃতি দিলেও কারা এই দলভুক্ত, তা নিয়ে জটিলতা আছে। এই সব সমস্যা ভাগ করে নিতেই ভিডিও কনফারেন্সে তিন দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনার আসর চালু হল। কলকাতার পবন ঢালি, মুম্বইয়ের অশোক রাও কবির মতো প্রবীণ সমাজকর্মীদের সঙ্গে দিল্লিপ্রবাসী মালদহের কৌশিক হোড়, কলকাতার তিস্তা, অভিজিৎ, অঙ্কন, ঢাকার রূপান্তরকামী, সমকামীরা অনেকেই এসেছিলেন। এই উদ্যোগের আহ্বায়ক বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায় পরে বললেন, ‘‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ ক্যুয়ার অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক বা সায়ন নামে এই মঞ্চটি শুরু করছি আমরা।’’
করাচির প্রতিনিধিরা অবশ্য আলোচনার সময়ে থাকতে পারেননি। পরে পাকিস্তানে প্রান্তিক গোষ্ঠীর যৌন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক সমাজকর্মী শামিম আখতার মুলতান থেকে ফোনে বলেন, ‘‘হিজড়াদের বিষয়ে তবু অনেকে ওয়াকিবহাল। কিন্তু সমকামীরা মারাত্মক বিপন্ন। তিন দেশের মঞ্চ পাকিস্তানে সচেতনতা ও অধিকারের লড়াইয়ে সাহায্য করবে।’’ ঢাকার সফিকুলও পরে ফোনে বললেন, ‘‘বাংলাদেশে সমকামী সমাজকর্মী জুলহাজ, মেহবুবদের খুনের পরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সমকামী, রূপান্তরকামীরা। একা বাঁচার বদলে কথা বলার বড় পরিসরটা আমাদের সাহস জোগাবে।’’
(নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের নাম পরিবর্তিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy