চাঁচলের ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এ চলছে সাইকেল সারাইয়ের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চাঁচলের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলাই সার! সেখানে খেলাধুলো করার সুযোগই পায় না পড়ুয়ারা। তার বদলে তা পরিণত হয়েছে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল রাখার ‘গুদাম’-এ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ পড়ুয়া-সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ বা জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিতর্ক শুরু হতেই দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ নিয়ে শাসকদলকে বিঁধেছে বিজেপি।
বছর তিনেক আগে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলোর সুবিধায় চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের মাঠে এই স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলে যুব কল্যাণ দফতর। ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্মিত এ স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস খেলার বন্দোবস্ত রয়েছে। তবে এই স্টেডিয়ামে এখন জায়গা পেয়েছে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেল। চলছে সাইকেল সারানোরও কাজ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাউল হকের দাবি, ‘‘প্রশাসনকে বার বার জানালেও সাইকেলগুলি সরানো হয়নি। এ জায়গা দ্রুত খালি করা হোক।’’ চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না। ব্লগ প্রশাসনকে বলব যাতে সাইকেলগুলি দ্রুত অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়।’’
প্রসঙ্গত, স্কুলে যাতায়াতের সুবিধায় পড়ুয়াদের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের আওতায় সাইকেল দেয় রাজ্য সরকার। এ বার সেই প্রকল্পের সাইকেল স্টেডিয়ামে রাখা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। মালদহ জেলা বিজেপি-র যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুমিত সরকারের দাবি, ‘‘প্রশাসনের উদাসীনতায় এমন হচ্ছে।’’ যদিও এ অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সচিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেবলমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিজেপি এ সব বলছে। প্রশাসনকে বলব, খেলার পরিবেশ ফেরাতে সাইকেলগুলি অন্য জায়গায় রাখা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy