ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আরপিএফ জওয়ান সমরেশ সামন্তের মৃত্যু স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতেই হয়েছে বলে সন্দেহ আরও পোক্ত হল। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইনসাস রাইফেলের গুলিতেই ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’ আরপিএফের অবশ্য দাবি, বহিরাগতদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই জওয়ানের। আরপিএফ ও জেলা পুলিশের চাপানউতোর দেখে ক্ষুব্ধ নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই।
সোমবার লাইসেন্সহীন হকারদের আন্দোলনের সময় মালদহ স্টেশন লাগোয়া এলাকায় আরপিএফ ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সমরেশবাবু। আরপিএফের মালদহের কমান্ড্যান্ট এস এস তিওয়ারি বলেন, ‘‘হকারেরা আমাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র, ইট, পাথর নিয়ে হামলা করেছিল। ওই জওয়ান কোন গুলিতে মারা গিয়েছে তা আমি বলতে পারব না।’’ কিন্তু ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ব্যারাকের মধ্যেই। কিন্তু ব্যারাকে কোনও হকার সে দিন ঢোকেননি বলেই প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে খবর। সে দিন আরপিএফ-ই গুলি চালাচ্ছিল।
সমরেশবাবুর পরিবারের বক্তব্য, ‘‘চাপানউতোর শুনতে চাই না। কে দোষী তা বার করে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’ ঘটনার ৭২ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও কোনও অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আরপিএফ-ও। ঘটনার দিন আরপিএফ এলোপাথাড়ি গুলি চালালেও একটি গুলির খোলও উদ্ধার হয়নি। মালদহের এসপি বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy