কালীপুজোর রাতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বারাসত। —নিজস্ব চিত্র।
কালীপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে জনজোয়ার। রাস্তায় উপচে পড়ছে উৎসাহীদের ভিড়ে। দমবন্ধ ভিড়ের জেরে বন্ধ করে দিতে হল ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলও। কালীপুজোর রাতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বারাসত। শহর জুড়ে ঠাকুর দেখার ঢল নেমেছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল সে ছবি। ভিড়ের চাপে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও প্রশাসনের দাবি, এই ভিড় প্রত্যাশিতই ছিল।
বারাসতে কালীপুজো ঘিরে উন্মাদনার ছবি দেখা গিয়েছিল অংসখ্য ভাইরাল ভিডিয়োয়। সমাজমাধ্যমে তা হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনই একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জনস্রোত উপচে পড়ছে বারাসত রেল স্টেশনের ফুটব্রিজে। তাতে যে কোনও মুহূর্তে বিপর্যয় হতে পারত।
একই ছবি দেখা গিয়েছে শহরের প্রায় প্রতিটি বড় পুজো মণ্ডপে। ভিড়ে ঢেকেছে বারাসতের সব ক’টি রাস্তাও। অথচ, কালীপুজোর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বারাসত জেলা প্রশাসন জানয়েছিল, ডাকবাংলো মোড় থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকবে। তবে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলবে। কিন্তু মঙ্গলবারের জনস্রোতে সন্ধ্যার পর থেকে তা-ও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বারাসত রথতলার পর আর কোনও বাস চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাস্তাঘাটে সারা রাতই উৎসাহীদের থিকথিকে ভিড়।
অনেকের দাবি, কোভিডের মতো অতিমারির বিধিনিধেষের জেরে গত দু’বছর উৎসবের মরসুম উদ্যাপন করতে পারেনি আমজনতা। তাই চলতি বছর জনজোয়ারের সুনামি নেমেছে। সোমবার কালীপুজোর দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যাঁরা রাস্তাঘাটে বার হতে পারেননি, তাঁরা মঙ্গলবার মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভি়ড়ও বেড়েছে। যদিও রাস্তাঘাট-সহ প্রতিটি পুজো মণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি ছিল। বারাসতের কালীপুজোকে ঘিরে কোনও রকম দুর্ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি।
বারাসাতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন, ‘‘কালীপুজোয় ভিড় হবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। সে কারণে আগে থেকেই পুলিশ এবং পুরসভা বিভিন্ন মণ্ডপের কর্তাদের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছে যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রেললাইন সংলগ্ন যে সমস্ত রাস্তায় আলো কম, সে সব দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, যাতে ভিড় হলেও সুষ্টু ভাবে কালীপুজো সম্পন্ন করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy