• যত্নটা শুরু করতে হবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকে। ভাল হয় পরিকল্পনা করার আগে স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিলে। ‘রুটিন চেক-আপ’ করিয়ে আগাম সতর্ক হন। মোটা হলে ওজন কমান আগেই। ধূমপান বা মদ্যপান একেবারে নয়। পারলে চা-কফি, সোডা মেশানো পানীয় খাওয়া কমিয়ে দিন।
• অন্তঃসত্ত্বার প্রথম তিন মাস সাবধানে থাকতে হয়। রক্তপাত বা পেটে ব্যথা উঠলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এই সময় ক্লান্ত লাগে। অনেকের মাথা ঘোরে, বমি পায়। কোনও লক্ষণ সহ্যের সীমা ছাড়ালেই চিকিৎসককে জানান।
• ডায়েটে নজর দিন। ফাস্টফুড একেবারে বাদ। সুষম খাবার বিশেষ করে ফল-শাক-সব্জির পরিমাণ বাড়ান। বারেবারে খান।
• প্রচুর জল খেতে হবে। অন্তত আট গ্লাস।
• দরকার ফোলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট। খুব ভাল হয় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কয়েক মাস আগে তা শুরু করতে পারলে। সময় যত গড়াবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নতুন-নতুন যোগ হবে—আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ডি, ই।
• চিকিৎসকের সঙ্গে কথা না-বলে কোনও ওষুধ খাবেন না।
• ভারী ব্যায়াম না করলেও একটু হাঁটাহাঁটি করা ভাল।
• পর্যাপ্ত ঘুম দরকার—আট থেকে দশ ঘণ্টা।
• নরম, সুতির জামাকাপড় পড়ুন। হাঁসফাঁস কম হবে।
• দু’চাকা-তিন চাকায় সওয়ার না-হলেই ভাল। বাস-ট্রেনে উঠবেন সাবধানে। চার চাকার গাড়িতে উঠে চালককে বলুন ধীরে চালাতে।
• শেষ তিন মাস খুব সাবধানে। চিকিৎসকের কথা অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চলুন। সময় আসন্ন হওয়ার লক্ষণগুলো জেনে নিন।
• প্রসবের পরে প্রসূতির মনের মধ্যে তাৎক্ষণিক অবসাদ কাজ করে। দিন পনেরোর মধ্যে বিষণ্ণতা না-কাটলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy