প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়িতে ফের ধরা পড়ল সন্দেহভাজন কেএলও জঙ্গি। রবিবার রাতে ভারত-নেপাল সীমান্তের খড়িবাড়ি থানা এলাকার দেবীগঞ্জ থেকে ধনকুমার বর্মণ ওরফে স্বপনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। গোয়েন্দারা জানান, ধৃত যুবক তুফানগঞ্জ ব্লক-২-এর বাঁশরাজা এলাকার বাসিন্দা। বছর ছাব্বিশের ধনকুমার সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে মায়ানমার সীমান্তের কাছে জঙ্গলে থাকা কেএলও ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিছু দিন আগে সেখান থেকে তিনি দেশে ফেরেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিলেন এসটিএফ আধিকারিকেরা। রবিবার নেপালে পালানোর আগে তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। রাতভর দফায় দফায় ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি, তখন যুবক স্বীকার করেন যে, কেএলও প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। ফোনে কথাও হত।
এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য জানান, ধৃতের বাবাকেও এর আগে কেএলও লিঙ্কম্যান সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন সংশোধনাগারেও ছিলেন তিনি। কলেজ ছাড়ার পর থেকে ধনকুমার ওরফে স্বপনও কেএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন বলে সন্দেহ পুলিশের। সুদীপ আরও জানান, কেএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, এমন আরও অনেকে উত্তরবঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক তুফানগঞ্জ কলেজে পড়াশোনা করতেন। ২০২০ সালে কলেজ ছেড়ে দেন। এর পরই ফেসবুকের মাধ্যমে কেএলও-র সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়তেই তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হয়। নাগাল্যান্ডের জঙ্গলে কিছু দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময়ে ধনকুমার মায়ানমারের জঙ্গলেও গিয়েছিলেন বলে এসটিএফের একটি সূত্র মনে করছে। এই দীর্ঘ সময় যুবকটি যে বাড়ি ছিলেন না, সে ব্যাপারে বাড়ির লোককে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা জানতেন, কর্মসূত্রে ছেলে বাইরে আছে। পরিবারের দাবি, গত প্রায় দু’মাস ধরে বাড়িতে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওই যুবক। তদন্তকারীরা জানান, ধৃত ধনকুমার জানিয়েছে, জীবন সিংহ তাকে নেপালে গিয়ে লুকোতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। অর্থ এবং স্থানীয় ছেলে জোগাড়েরও নির্দেশ দেন।
কিছু দিন আগে শিলিগুড়িতে সন্দেহভাজন দুই কেএলও জঙ্গি অবিনাশ রায় ও মৃণাল বর্মণকে পাকড়াও করে এসটিএফ। দু’জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা হয়। তাঁদেরও অর্খ সংগ্রহ ও সংগঠন সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। মৃণাল তোলাবাজির টাকায় অস্ত্র কিনতেন বলে এসটিএফের একটি সূত্রের দাবি। সেগুলি অসম হয়ে কেএলও জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়া হত বলেই সন্দেহ। তাঁদের জেরা করেই ধনকুমারের নাম জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy