রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনুসন্ধান করছে কলকাতা পুলিশ। তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নয়। অনুসন্ধান করা হচ্ছে মূল ঘটনাটি নিয়ে। এমনটাই জানিয়েছে লালবাজার। সোমবার তাদের তরফে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, রাজভবনকাণ্ডে অনুসন্ধান শুরুর জন্য সেখানে নিযুক্ত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জানান। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। রাজ্যপাল নিজে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার পর তিনি চলে গিয়েছেন কেরলে। যে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল তাঁর পদমর্যাদার খাতিরে সংবিধানের রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি তদন্ত করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে পুলিশ কী করবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তার মাঝেই সোমবার এই বিবৃতি দিল লালবাজার।
পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা আদৌ কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে না। বৃহস্পতিবার রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানা যে অভিযোগপত্র পেয়েছে, তা একটি নির্দিষ্ট ঘটনা সংক্রান্ত। কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়।
ওই ঘটনার তদন্ত করতে চেয়ে ইতিমধ্যে রাজভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এখনও তারা সেটি পায়নি। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজভবনের তরফে কেউ তাদের অনুসন্ধান-প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেননি। তাই সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন লালবাজার কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, রাজভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছিল পুলিশ। তারা জানিয়েছিল, এই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের কী করণীয়, সে বিষয়ে আইন এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তার পর রবিবার রাজ্যপাল বিবৃতি দিয়ে সংবিধানের ৩৬১ (২), (৩) ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সেখানে রাজ্যপালের বিশেষ রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তাই পুলিশ কোনও তদন্ত করতে পারে না বলে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। এ বিষয়ে অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে কিংবা ফোনে রাজভবনের কোনও কর্মী কোনও কথা বলতে পারবেন না বলেও জানান তিনি। স্থায়ী, অস্থায়ী, আংশিক সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ সব ধরনের কর্মীদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy