Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

আজ পুজোর কার্নিভালে প্রচার যুব বিশ্বকাপেরও

যুবভারতীতে বল গড়াতে এখনও ছ’দিন বাকি। তবে গ্রুপ লিগের ম্যাচ খেলতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছে চিলি ও ইরাক। ইংল্যান্ডের শহরে পৌঁছনোর কথা সোমবার বেশি রাতে। এই তিনটি দেশে ফুটবলার, কোচ এবং কর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কার্নিভালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রতন চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৭
Share: Save:

রেড রোডের পুজোর কার্নিভালেও জুড়ে গেল যুব বিশ্বকাপ।

অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপের প্রচারে পাড়ায় পাড়ায় পুজো মণ্ডপে অসংখ্য হোডিং এবং বল প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। এ বার সেটা তুলে আনা হচ্ছে নানা আঙ্গিকে আজ, মঙ্গলবার বিকেলের কার্নিভালেও।

যুবভারতীতে বল গড়াতে এখনও ছ’দিন বাকি। তবে গ্রুপ লিগের ম্যাচ খেলতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছে চিলি ও ইরাক। ইংল্যান্ডের শহরে পৌঁছনোর কথা সোমবার বেশি রাতে। এই তিনটি দেশে ফুটবলার, কোচ এবং কর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কার্নিভালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য। ফিফা সূত্রে খবর, অনুশীলনের সময় পাল্টে তিনটি দেশ-ই যাতে কার্নিভালে উপস্থিত থাকে, সে জন্য ফিফার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে তিনটি দেশের কোচ ও মিডিয়া ম্যানেজারদের।

আরও পড়ুন: তুলি হাতে বন্দিনী মায়েদের সঙ্গে দেবযানীও

তবে পুজো উদ্যোক্তাদের মতো তাঁরা লরিতে রোড শো করবেন না। থাকবেন দর্শকাসনে। তিনটি টিমকেই কড়া নিরাপত্তায় বিশেষ বাসে করে এনে বসানো হবে নির্দিষ্ট আসনে। যেখানে বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত রাষ্ট্রদূতেরাও থাকবেন। এ দিন যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে কার্নিভাল সংগঠনের এক কর্তা জানালেন, ‘‘আশা করছি তিনটি দেশই আসবে। ইংল্যান্ড দেরিতে পৌঁছলেও তাদের মঙ্গলবার কোনও অনুশীলন নেই। ফলে তাদেরও আসতে সমস্যা হবে না।’’

দূর্গাপুজোর সঙ্গে বিশ্বকাপ যে সম্পৃক্ত সেটা বোঝাতে বিশেষ কিছু পুজোর সংগঠকদের বিশ্বকাপ সংক্রান্ত ট্যাবলো তৈরি করতে বলা হয়েছে। সমাজসেবী, নতুন দল, সুরুচি সঙ্ঘের মতো বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি পুজোর সময় নানা ভাবে যুব বিশ্বকাপের প্রচার করেছে। তাদের লরিতে সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু রেল্পিকা, মডেল ইত্যাদি থাকবে। খোঁজ চলছে কিছু বল জাগলারের। যার উদ্দেশ্য হলো কলকাতাকে ফুটবলের শহর হিসাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।

এ বার ৬৮টি পুজো কমিটিকে কার্নিভালে ডাকা হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় শুরু রোড শো। গত বারের মতোই লাইভ শো করতে পারবে ক্লাবগুলি। তবে চলমান অবস্থায়। গত বার যে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ভিভিআইপি-রা ছিলেন তার সামনে দু’মিনিট দাঁড়িয়ে লাইভ শো দেখানোর সুযোগ ছিল। এ বার তা করা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুজো কর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, ডেকরেটার্স, থিম তৈরির শিল্পীদের শোভাযাত্রায় রাখার জন্য ও বাংলার সাবেকি পোশাকে কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য।

কার্নিভালে পুজো কমিটিগুলির জন্য দু’টি পুরস্কার থাকে। একটি সেরা ট্যাবলোর জন্য, অন্যটি লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য। সেই পুরস্কারের লড়াইয়ে যে বিশ্বকাপের থিমই প্রাধান্য পাবে তা বলাই যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE