Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Drowning Death

ঝিলে তলিয়ে মৃত্যু দুই যুবকের

সোমবার, প্রায় ৪০ মিনিট সাঁতার কাটার পরে ঝিলের মাঝ বরাবর পৌঁছে আচমকাই দম হারিয়ে ফেলেন সৌরীশ দাস (২২) এবং রণিত বন্দ্যোপাধ্যায় (২১) নামে দু’জন। মিনিটখানেকের মধ্যেই তলিয়ে যান তাঁরা।

An image of drowning

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ০৮:০৭
Share: Save:

তীব্র গরমের সন্ধ্যায় তিন বন্ধু মিলে পাড়ার অদূরে একটি ঝিলে নেমেছিলেন সাঁতার কাটতে। সোমবার, প্রায় ৪০ মিনিট সাঁতার কাটার পরে ঝিলের মাঝ বরাবর পৌঁছে আচমকাই দম হারিয়ে ফেলেন সৌরীশ দাস (২২) এবং রণিত বন্দ্যোপাধ্যায় (২১) নামে দু’জন। মিনিটখানেকের মধ্যেই তলিয়ে যান তাঁরা। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় পুলিশ ও দমকল তাঁদের উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, মৃতদের বাড়ি নেতাজিনগর এলাকার আদর্শপল্লিতে।

ওই দু’জনের সঙ্গেই পাটুলি এলাকার আশাপূর্ণা ঝিলে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন অরিন্দম ঘোষ নামে এক যুবক। পুলিশ জানায়, অন্য দু’জন ডুবে যাচ্ছেন দেখে হতভম্ব হয়ে তিনি আশপাশের কাউকে না ডেকে নিজের পাড়ায় ছোটেন। পাড়া-পড়শিরা এসে তল্লাশি শুরু করতে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘণ্টাখানেক সময়।

স্থানীয় ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি, তৃণমূলের বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানান, সময় মতো জানা গেলে আশপাশের মানুষজন অন্তত সাহায্যের চেষ্টা করতে পারতেন। তিনি বলেন, ‘‘আশাপূর্ণা ঝিলে স্থানীয় একটি ক্লাব সাঁতার প্রশিক্ষণ দিত। কিন্তু বছর দেড়েক ধরে তা বন্ধ। ঝিলে আশপাশের মানুষজন সাঁতার কাটতে নামেন। তাঁদের তো আর বাধা দেওয়া যায় না।’’ তবে ঝিলে নামা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা।

পারিবারিক সূত্রে খবর, রণিত ওড়িশায় বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি পাঠ্যক্রম শেষ করে সদ্য কলকাতায় ফিরেছিলেন। দক্ষ সাঁতারু হিসাবেও পাড়ায় পরিচিত ছিলেন তিনি। বন্ধু সৌরীশ স্থানীয় একটি কলেজে পড়তেন। দমকলকর্মীদের অনুমান, ঝিলে বারকয়েক এ পার-ও পার করার পরে আচমকাই দম হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। তাতেই ঘটে বিপত্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drowning Death Patuli
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE