—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কালীপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হচ্ছে ছটপুজো। তাই এলাকার বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রতিমার কাঠামো দ্রুত তুলে নিয়ে সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে দমদমের তিন পুর এলাকায়। তিন পুরসভাই জানিয়েছে, ছটপুজোর জন্য জলাশয় এবং সেগুলির পাড়ের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। তিন পুরসভা সূত্রের খবর, ছট উপলক্ষে তাদের এলাকায় একাধিক জলাশয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেগুলি পরিষ্কার করার কাজ প্রায় শেষ। জল যাতে দূষিত না হয় এবং নিষিদ্ধ বাজির ব্যবহার যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
দমদম পুরসভা জানিয়েছে, ছটপুজোয় জলাশয়ের ধারে মেডিক্যাল শিবির থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকবেন পুরকর্মী, পুলিশকর্মী, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। পুরকর্তারা নিজেরা তদারকি ও নজরদারিতে থাকবেন। দমদমের গোরাবাজারে ধোবিয়াপুকুর-সহ কয়েকটি জলাশয়ে ছটপুজো হয়। ধোবিয়াপুকুরেই জনসমাগম বেশি হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, ছটপুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম ঘটে ওই জলাশয়ে। তাই কালীপুজো শেষ হতেই প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার পরে দ্রুত কাঠামো তুলে জলাশয় সাফ করা হয়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণের দিকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
একই ছবি উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। সেখানেও ছটের জন্য জলাশয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। উত্তর দমদমের চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, প্রতি বছরের মতো এ বারও জলাশয় এবং সেগুলির আশপাশের জায়গা পরিষ্কার করে ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চলতি বছরে দমদম এবং দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দারা ডেঙ্গির প্রকোপে জেরবার হয়েছেন। দমদমের দুই পুর এলাকায় মোট ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। আড়াই হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বার পুজোর পরেও দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ছটের আগে এলাকা ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো, মশার ওষুধ স্প্রে করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, জলাশয় যাতে কোনও ভাবে দূষিত না হয়, সে ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, ডেঙ্গির প্রকোপ বর্তমানে অনেকটা কমলেও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজের গতি বজায় থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy