তিন জনকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানা। তাঁদের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
রাতে ফুটপাতের ভাতের হোটেলের পাশে ঘুমোতে চেয়েছিলেন ফুটপাতবাসী যুবক! দোকানে তখন ক্রেতা থাকায় তাঁকে চলে যেতে বলেন দোকানমালিক। এই নিয়েই শুরু হয় দোকানমালিকের সঙ্গে ওই যুবকের বচসা। যা গড়ায় মারধরে। আর সেই মারধরের ফলেই মৃত্যু হয় যুবকের। তিন দিন আগে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানা। ধৃতদের নাম অলোক চক্রবর্তী, অজয় দাস এবং জয়ন্ত ভুঁইয়া। তাঁদের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ এ জে সি বসু রোডে এন আর এস হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মৃত যুবকের নাম আয়ুষ জুলকা (২৬)। প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল মুচিপাড়া থানা। পরে যুবকের দেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মারধর এবং তার জেরেই মৃত্যুর প্রমাণ মেলে। এর পরেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, এ জে সি বসু রোডে ফুটপাতে একাই থাকতেন আয়ুষ। পাশেই একটি ভাতের হোটেল চালান অলোক। রাতে হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে সেখানে ঘুমোতেন আয়ুষ। ঘটনার রাতেও ঘুমোতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময়ে অলোকের হোটেল খোলা ছিল। আয়ুষ হোটেলের পাশে ঘুমোতে গেলে বাধা দেন অলোক। শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বচসা। অভিযোগ, এর পরে অলোক এবং তাঁর হোটেলের দুই কর্মী অজয় ও জয়ন্ত মারধর করেন আয়ুষকে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy