—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে ১৫ বছর ধরে লড়াই করার পরে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা সালমা বিবি অবশেষে মামলায় জয়ী হয়েছেন। আবার বারুইপুরের মণীশ মুখোপাধ্যায় ন’বছর আগে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা দায়ের করলেও এখনও তার নিষ্পত্তি হয়নি।
যে কোনও সামগ্রী বা ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে অথবা চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ অন্য কোনও ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে ক্রেতা বাগ্রাহকেরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু অভিযোগ, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলার মীমাংসা হতে এতটাই সময় লাগে যে, মামলাকারীরাই চরম হেনস্থার শিকার হন। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা সংক্রান্তদীর্ঘসূত্রতা দূর করতে সম্প্রতি রাজ্য ও জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেনক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।
সূত্রের খবর, মন্ত্রী চান, সাধারণ মানুষ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা দায়ের করার এক মাসের মধ্যে প্রথম শুনানি হোক। একই সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি যাতে এক বছরের মধ্যে হয়, সে কথাও বৈঠকে বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতারণার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষ যাতে দ্রুত বিচার পান, তার জন্যই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করে বছরের পর বছর রায়দানেরঅপেক্ষায় ছোটাছুটি করেন। বিচারের এই দীর্ঘসূত্রতা দূর করতেই রাজ্য ও জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করার এক বছরের মধ্যে বিচার পান।’’
রাজ্য়ের প্রতিটি জেলায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত রয়েছে। জেলার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেররায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাওয়া যায়। সর্বশেষ ক্ষেত্রে রয়েছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, জেলা ও রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা দায়েরকরার সময় থেকে শুরু করে রায় পাওয়া অবধি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অন্তত পাঁচ বছর লেগে যায়। ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিরন্ময় ব্রহ্মচারীবলেন, ‘‘ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক, সেটা আমরাও চাই। ক্রেতা সুরক্ষা আইন সেটাই বলছে। মন্ত্রীরএই উদ্যোগকে আমরা পূর্ণ সমর্থন করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy