সাদা নম্বর প্লেটের কোনও গাড়ি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওয়েলিংটন এলাকায় সাদা নম্বর প্লেটের গাড়িই চলছে স্কুলগাড়ি হিসেবে। সোমবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
দিন কয়েক আগেই হুগলির পোলবায় নয়ানজুলিতে স্কুলগাড়ি উল্টে আহত হয়েছে বেশ কয়েক জন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। ওই ঘটনার পরেও যে কোনও কোনও স্কুলগাড়ির চালক সচেতন হননি, সোমবার তা দেখা গেল কলকাতা স্টেশনের কাছে একটি দুর্ঘটনায়। বেপরোয়া স্কুলগাড়ির ধাক্কায় সেখানে আহত হয়েছেন এক স্কুটারচালক ও আরোহী।
পুলিশ জানায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্কুলগাড়িতে বাড়ি ফিরছিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের জনা আটেক পড়ুয়া। সকলেরই বয়স ছয় থেকে আটের মধ্যে। রায়চরণ সাধুখাঁ রোড ধরে কলকাতা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। সে সময়েই পাশের রাস্তা দিয়ে একটি স্কুটার ইউ টার্ন করে উঠছিল রায়চরণ সাধুখাঁ রোডে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্কুটারটি বাঁক নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামনের দিক থেকে তীব্র গতিতে আসা স্কুলগাড়িটি সেটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন স্কুটারচালক অভিজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল। তাঁদের পায়ে গুরুতর চোট লাগে। স্থানীয়েরাই তাঁদের উদ্ধার করে চোখে-মুখে জল দেন। পরে অভিজিৎ ও মমতাকে একটি গাড়ি করে আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ দিকে, দুর্ঘটনার পরে স্কুলগাড়িটিকে আটকে রাখেন এলাকার লোকজন। প্রায় ১০ মিনিট এ ভাবে আটকে থাকায় কান্নাকাটি শুরু করে দেয় খুদে পড়ুয়ারা। শেষে পুলিশ আসার পরে ছাড়া হয় গাড়িটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেলে স্কুলগাড়িটিকে আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
অভিজিৎ বলেন, ‘‘গাড়িটির ধাক্কার চোটে আমরা দু’জনেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। জ্ঞান ফিরতে দেখি, স্কুলের বাচ্চারা কাঁদছে।’’ আর মমতার কথায়, ‘‘বারবার দুর্ঘটনার পরেও চালকেরা সচেতন হচ্ছেন না। আতঙ্কে বাচ্চাগুলো যে ভাবে কাঁদছিল, তাতে রীতিমতো ভয় করছিল।’’
এত প্রচার সত্ত্বেও কেন হুঁশ ফিরছে না স্কুলগাড়ির চালকদের? পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘ওই গাড়িটি আমাদের সংস্থায় নথিভুক্ত নেই। মালিক নিজেই সেটি পুলকার হিসেবে ভাড়া খাটাচ্ছিলেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy