Advertisement
২৪ মে ২০২৪
Dengue Death

পুজোর সময়েও ডেঙ্গিতে মৃত্যু মহিলার

পুরসভা সূত্রের খবর, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে মামণির জ্বর আসে। ১৬ তারিখ তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে দেখানো হলে তাঁর পরামর্শে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়।

An image of the woman

মামণি নস্কর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:২০
Share: Save:

ফের শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর মিলল। পঞ্চমীর দিন ওই মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও রাজ্যে চলতি মরসুমে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত কত জনের মশাবাহিত রোগে মৃত্যু হয়েছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা কত— তা নিয়ে কোনও পরিসংখ্যান জানাতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। তবে বেসরকারি সূত্রের পরিসংখ্যান বলছে, পঞ্চমীতে মৃত্যুর ঘটনা ধরলে রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের মোট সংখ্যা ৬৬।

জানা গিয়েছে, পঞ্চমীর দিন ডেঙ্গিতে মৃতার নাম মামণি নস্কর (৪৫)। তাঁর বাড়ি কলকাতা পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুরের জনতা রোডে। পুরসভা সূত্রের খবর, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে মামণির জ্বর আসে। ১৬ তারিখ তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে দেখানো হলে তাঁর পরামর্শে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সেই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েনি বলেই দাবি পুরকর্তাদের। তবে ১৭ অক্টোবর বিকেল থেকে মামণির বমি ও পায়খানা শুরু হয়। পরদিন ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর ফের ডেঙ্গি পরীক্ষা করানো হয়।

জানা গিয়েছে, হাসপাতালের সেই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই মহিলার অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। ১৯ অক্টোবর, পঞ্চমীর সকালে মামণি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে।

সূত্রের খবর, স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে জনতা রোডের বস্তি এলাকায় থাকতেন মামণি। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই মহিলার বাড়ির আশপাশে প্রায় ১৫ জন সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তথা ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘এখন ওই এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রের আরও দাবি, শহর কলকাতায় চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও মামণির মৃত্যুকে হিসাবে ধরা হলে সংখ্যাটি ১৮ জন বলে বেসরকারি সূত্রের খবর। এ বছর শহরে ডেঙ্গিতে মোট মৃতদের সিংহভাগই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা।

পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, মামণি যেখানে থাকতেন, সেটি ১১ নম্বর বরো এলাকার অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ কলকাতার ১০, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা এ বার সব থেকে বেশি। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বুধবার বলেন, ‘‘আগের তুলনায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে।’’

বেসরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার। তবে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় এ বার ডেঙ্গির প্রকোপ কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Death Dengue Dengue Fear
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE