মহম্মদ ইমরান
স্কুল থেকে ফিরে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিল বছর বারোর ছেলেটি। আচমকাই ভারী কিছু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। তাঁরা দেখেন, জরাজীর্ণ পাঁচিলটির ভেঙে পড়া অংশের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে এক বালক। স্থানীয়েরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।
সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই বালকের নাম মহম্মদ ইমরান। খড়দহ থানা এলাকার অন্তর্গত পি কে বিশ্বাস রোডের বাসিন্দা মহম্মদ মুন্না। তাঁরই একমাত্র ছেলে ইমরান। পেশায় গাড়িচালক মুন্না দুই মেয়ে এবং এক মাত্র ছেলে নিয়ে সপরিবারে ভাড়া থাকেন ফুলকুমার সাউয়ের বাড়িতে। ইমরান সোদপুর কেদারনাথ হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ইমরানদের বাড়ি লাগোয়া ভগবান সাউয়ের বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভগবানবাবু তাঁর পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করছিলেন। কিন্তু ভিতের পাশে পুরনো পাঁচিলটি রয়ে গিয়েছিল। সেটিই ভেঙে পড়ে এই বিপত্তি।
ইমরানের পরিবার সূত্রের খবর, স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে ঘুড়ি ওড়াতে ভগবানবাবুর নতুন বাড়ির ভিতে গিয়েছিল ইমরান। তখনই আচমকা ভিতের পাশের পুরো পাঁচিলটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পাঁচিলের নীচ থেকে ওই বালককে উদ্ধার করে খড়দহের বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইমরানের পিসি আজমিরি খাতুন বলেন, ‘‘ছেলেটা স্কুল থেকে এসে একটু খেয়েই ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিল। আর ফিরল না!’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ছেলেটি আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে পাঁচিলে ধাক্কা মারে। পুরনো পাঁচিলটি আগে থেকেই দুর্বল ছিল। তাই ইমরানের ধাক্কা নিতে পারেনি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক বলে মানছেন ভগবানবাবুর পরিবার। পরিবারের দাবি, পাঁচিলটির পাশেই পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি হচ্ছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই পাঁচিলটি ভাঙা হত। তার আগেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল।
যদিও ইমরানের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy