পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হল আমিরকে। —ফাইল ছবি।
আবারও পুলিশি হেফাজতে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। অনলাইন গেমিং অ্যাপ-কাণ্ডে এক প্রতারিতের করা মেলের ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের হয়। ৫০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় শুক্রবার আমিরকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
অন্য দিকে, পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মূল মামলায় ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় আমিরকে। সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যোগও মিলেছে। সল্টলেকের দফতরের সঙ্গে দুবাইয়ের যোগ পাওয়া গিয়েছে। টাকা বিট কয়েনে কনর্ভাট করা হয়েছে। যে ভাবে প্রতারণা হয়েছে, তা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের পক্ষে ক্ষতিকারক।
মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতার ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় নোটের বান্ডিল। ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার হন আমির। ইডির পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এই তদন্তে নেমেছে।
তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু জনকে প্রতারণা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমির-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরও দু’জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা। আমিরের সল্ট লেকের অফিসে হানা দিয়ে ১,৫০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছিল, এই সব অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেন হত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সেই টাকা কনভার্ট করা হত। ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy