রাতে শোওয়ার আগে একসঙ্গে ডিনার করেছিলেন। তার পরে কিছুক্ষণ চলেছে গল্পও।
দীর্ঘদিনের সহকর্মী তাঁরা। দু’জনেরই বাড়ি ওড়িশায়। মাঝেমধ্যেই সংস্থার কাজে একসঙ্গে ভিন্ শহরে থেকেছেন। কর্মক্ষেত্রেও অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। এ বারেও অন্যথা হয়নি।
শুক্রবার সেই দুই সহকর্মীর এক জন একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। অন্য জনের শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে নিজের শহরে। যিনি শহরের হাসপাতালে রয়েছেন, সেই আনন্দ মহান্তি চিকিৎসক, নার্স যাঁকেই পেয়েছেন, বন্ধুর কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, বন্ধু চমর কিষেণ ‘সুস্থ’-ই আছেন।
বৃহস্পতিবার টাটা স্টিলের ওই দুই অফিসারকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় গোল্ডেন পার্ক হোটেলে। এক জনকে করিডরে, অন্য জনকে ঘরে। দমকল জানিয়েছিল, বিষাক্ত ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসে দু’জনেরই। এক জন করিডরে এসে আরও বিষাক্ত ধোঁয়ার মধ্যে পড়েন। সেই চমরকে যখন এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়, থেমে গিয়েছে তাঁর হৃদস্পন্দন।
হোটেলের ৪০৬ নম্বর ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল আনন্দকে। তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএমে। পরে টাটা স্টিলের কর্তা-ব্যক্তিরা তাঁকে নিয়ে যান উ়়ডল্যান্ডসে। সেখানে চিকিৎসক সৌম্যব্রত রায়চৌধুরী জানান, আনন্দের রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে অর্ধচেতন অবস্থায় ছিলেন বৃহস্পতিবার। শুক্রবার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়। তার পর থেকেই চমরের কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। চিকিৎসকেরা জানান, রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেশি হলে এমনিতেই ‘শক’ হয়। তার উপরে বন্ধুর মৃত্যু সংবাদ তাঁকে আরও অসুস্থ করে তুলতে বলে চমরের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়নি আনন্দকে। আরও কিছু দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানান চিকিৎসকেরা।
ওই হাসপাতালেই ভর্তি অজিত হোরো ও চাঁদনি চন্দ্রাণী। তাঁরাও অফিসের কাজে কলকাতায় এসেছিলেন। মানসিক ভাবে তাঁরা এখনও আতঙ্কিত। তবে শুক্রবার তাঁরা কিছুটা সুস্থ হয়েছেন, স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করেছেন। আজ, শনিবার তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy