Advertisement
১৩ জুন ২০২৪
Calcutta News

স্ত্রী বদল কাণ্ডে নয়া মোড়, স্বামী ভাশুরের জামিনে সায় গৃহবধূর

কলকাতা শহরের একটি নামি স্বর্ণালঙ্কার বিপণি সংস্থার পরিবাবের বধূ পুলিশকে বলেছিলেন, পারিবারিক রীতির নামে তাঁর স্বামী এবং ভাশুর স্ত্রী বদল করেছিলেন। তাঁর ভাশুর দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করেছে।

বিচারকের সামনে লিখিত মুচলেকা দিলেন বালিগঞ্জের বধূ।

বিচারকের সামনে লিখিত মুচলেকা দিলেন বালিগঞ্জের বধূ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৪৬
Share: Save:

স্বামী ভাশুর জামিন পেলে আপত্তি নেই। এই মর্মেই বিচারকের সামনে লিখিত মুচলেকা দিলেন বালিগঞ্জের সেই বধূ যিনি স্বামী এবং ভাশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিকৃত যৌনতার অভিযোগ করেছিলেন। সোমবার তাঁর ওই মুচলেকা ভোল বদলে দিল গোটা মামলার।

এর আগে ওই মহিলা যিনি কলকাতা শহরের একটি নামি স্বর্ণালঙ্কার বিপণি সংস্থার পরিবাবের বধূ কড়েয়া থানায় ওই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, পারিবারিক রীতির নামে তাঁর স্বামী এবং ভাশুর স্ত্রী বদল করেছিলেন। তাঁর ভাশুর দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করেছে। অন্যদিকে তাঁর স্বামী তাঁকে বাধ্য করেছে বিকৃত যৌনতায় সঙ্গ দিতে।

ওই অভিযোগ পাওয়ার পরই স্বামী এবং ভাশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে এর আগের দিন অভিযোগকারীর দেওয়া একটি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা কথোপকথন তুলে ধরে প্রমাণ হিসাবে। অভিযোগকারী, তাঁর বোন এবং জায়ের মধ্যে কথোপকথনে স্ত্রী পাল্টাপাল্টির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে দাবি করে পুলিশ। সেই মতো ফের পুলিশ হেফাজত হয় দুই অভিযুক্তের এবং বিচারক অভিযোগকারী বধূর বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার দিন নির্দিষ্ট করেন সোমবার।

(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)

আরও পড়ুন: ‘শেষ মুহূর্তেও পিস্তল চালানোর চেষ্টা করেছিল রামুয়া’, স্ত্রীর বয়ান ঘিরে বাড়ছে সন্দেহ

কিন্তু এ দিন আদলতে নিজের আইনজীবী মারফত লিখিত মুচলেকা দিয়ে অভিযোগকারী জানান, তাঁর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির আপস হয়ে গিয়েছে। শ্বশুরবাড়ি তাঁর করা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সম্মতি দিয়েছে।এই অবস্থায় আদালত তাঁর স্বামী এবং ভাশুরকে জামিন দিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

আরও পড়ুন: পিটিয়ে যকৃৎ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সামনে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

সেই আবেদন শুনে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায় আবেদনকারীকে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে তার শাস্তি কমপক্ষে দশ বছর এবং দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য অপরাধ। সেই কারণে তিনি তাঁর আদালত থেকে জামিন দিতে পারবেন না। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।

গোটা ঘটনার পর কার্যত তাজ্জব পুলিশ। এর পর আদৌ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না তা নিয়েই তাঁরা সংশয়ে।

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE