কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
বয়সে ছোট কারও মৃত্যুসংবাদ শুনলে মনে হয়, এখন শুধু রিঅ্যাকশন দেওয়ার ফোন কলের জন্য বেঁচে আছি।
আমরা ‘বিসর্জন’ ছবিটা এডিট করতে বসেছিলাম। কালিকা যে নেই, সেটা শোনার পর আর বসে থাকতে পারলাম না কেউই। আমার এই ছবিটার মিউজিক ডিরেক্টর ছিল কালিকা। ছিল! মৃত্যুর গান, দুঃখের গান— যাই শুনছি সবটা ছাপিয়ে এখন কালিকার মুখই ভেসে উঠছে। ও যে নেই, এই খবরটা যেন মাথার ওপর বাজের মতো পড়ছে। আমি সাধারণত বেশ গুছিয়েই কথা বলতে পারি, লিখতে পারি— এখন কিছুই সম্ভব হচ্ছে না। পরশু ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। খুব এক্সাইটেড ছিল ও ছবিটা নিয়ে। আসলে মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার সুযোগ তো তেমন পায়নি।
আরও পড়ুন- ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, ভয় হচ্ছে, মিস করছি কালিকা…
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আমার জুনিয়র ছিল। আমি বাংলা নিয়ে পড়তাম। ও কম্পারেটিভ লিটারেচার নিয়ে পড়ত। লোকগানের একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। দীনেন্দ্র চৌধুরির পর কালিকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর সম্পর্ক ছাপিয়ে পরিচালক-সঙ্গীত পরিচালকের একটা অদ্ভুত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমাদের। একটা ছবি করতে গেলে যে কত খিটিমিটি হয়…। জানেন, ছবিটার একটা শেষ গান ও সুর করবে বলে আমি লিখেও ফেললাম। কী যে হয়ে গেল…।
আরও পড়ুন- গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত দোহারের কালিকাপ্রসাদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy