Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Bidhannagar Municipality

জিলিপির দোকান ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক, বিধাননগর মেলা থেকে ইস্তফা ক্ষুব্ধ মেয়র পারিষদের

সল্টলেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে চলছে বিধাননগর মেলা। পুরসভার অন্দরের খবর, সেই মেলার বাইরে জিলিপির দু’টি স্টল বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন রাজেশ।

An image of Bidhannagar Municipality

বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:১৭
Share: Save:

মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে জিলিপির দু’টি স্টল বসানো ঘিরে মনোমালিন্য। জানা গিয়েছে, এর জেরে মেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধাননগরের মেয়র পারিষদ। সূত্রের খবর, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্টল বসানো নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় গত রবিবার বিধাননগর মেলার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন মেয়র পারিষদ রাজেশ চিরিমার। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মেলায় গেলেও আদালতের কাজ থাকার কারণ দেখিয়ে রাজেশ গরহাজির ছিলেন। যদিও রাজেশ কিংবা মেয়র কেউই ইস্তফার কথা স্বীকার করেননি। তবে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে দু’পক্ষেরই দাবি।

সল্টলেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে চলছে বিধাননগর মেলা। পুরসভার অন্দরের খবর, সেই মেলার বাইরে জিলিপির দু’টি স্টল বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন রাজেশ। তা নিয়ে আপত্তি তুলে মেয়র কৃষ্ণার হস্তক্ষেপ দাবি করেন চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে কেন দু’টি স্টল উচ্ছেদ করা হল, তা ক্ষুব্ধ রাজেশ পুর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান।

পুর আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, ওই দুই জিলিপি বিক্রেতার প্যান কার্ড না থাকায় তাঁরা স্টলের আবেদন করতে পারছিলেন না। এ দিকে রাজেশ দুই বিক্রেতাকে আশ্বস্ত করে দু’জনের থেকে ২০ হাজার টাকা করে ভাড়া বাবদ নেন।

বুধবার ইস্তফার বিষয়টি স্বীকার না করলেও রাজেশ জানান, পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘কুড়ি বছর ধরে ওঁরা মেলার বাইরে স্টল দেন। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেই ওই দু’জনকে বসতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্যান কার্ড না থাকায় ওঁদের টাকা পুরসভা নিতে চাইছিল না। স্টলের দাম ‘ওয়েল উইশার্স’ কোটায় নেওয়া যায় কি না, সেই আলোচনার মধ্যেই ওঁদের উচ্ছেদ করা হয়।’’ তিনি টাকা নিয়ে স্টল বসাচ্ছেন, পুরসভায় এমন খবর ছড়ানোয় রাজেশ ক্ষুব্ধ হন।

এ বছর মেলায় স্টল বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে স্টল বুকিংয়ের পরিকল্পনা করা হলেও মেলা শুরুর আগে দেখা যায়, ১৭২টি স্টল বিক্রিই হয়নি। পুর কর্তৃপক্ষ মেয়র পারিষদ ও পুরপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন স্টল বিক্রির ব্যবস্থা করতে। মেয়র জানান, ৪০ লক্ষ টাকায় ওই সব স্টল বিক্রি করাতে উদ্যোগী হন চেয়ারম্যান।

পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, মেলার সম্পাদক রাজেশ অনলাইন ব্যবস্থার অ্যাডমিন হতে চাইলেও তাঁকে করা হয়নি। আধিকারিকদের কাছে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত দু’টি স্টল উচ্ছেদ হওয়ায় রাজেশ রবিবার মেয়র, পুর কমিশনার-সহ আধিকারিকদের ইমেলে ইস্তফাপত্র পাঠান। অতীতেও পুর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার নজির রয়েছে বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামী রাজেশের।

মেয়র কৃষ্ণা এ দিন জানান, মেলার বাইরে ও ভাবে স্টল করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও ইস্তফাপত্র পাইনি। রাজেশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমাদের কথা হয়েছে, মিটে যাবে। ও দ্রুত রেগে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE