—প্রতীকী ছবি।
সল্টলেক তথা বিধাননগরে অবৈধ হোর্ডিংয়ের ভবিষ্যৎ কী? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিন্তু বৈধ হোর্ডিং থেকেও যে পুরসভার বিশেষ আয় হবে না, সদ্য পেশ হওয়া বাজেটে তা স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হয়েছে বিধাননগর পুরসভায়। তাতে বিভিন্ন খাতে আয় বাড়ানোর কথা বলা হলেও হোর্ডিং থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে মাত্র ২০ লক্ষ টাকা! গত বছরে হোর্ডিং থেকে ওই অর্থই আয় করেছিল পুরসভা। কিন্তু কেন প্রস্তাবিত বাজেটে সেই খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এত কমিয়ে ধরা হল? এই প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার অন্দরেই।
পুরসভা সূত্রের খবর, বিধাননগর পুর এলাকায় এই মুহূর্তে বৈধ হোর্ডিংয়ের সংখ্যা ১৩০ এর কিছু বেশি। পুর মহলের একাংশের মত, একটি সাধারণ মাপের হোর্ডিং থেকেও বছরে ৯০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। সেই হিসেবে আইনি হোর্ডিংগুলি থেকে বছরে
অন্তত এক কোটি টাকারও বেশি আয়ের পথ খোলা রয়েছে। সেখানে প্রস্তাবিত বাজেটে কেন হোর্ডিং থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কম ধরে এগোনো হবে?
পুরসভার একটি অংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই আইনি হোর্ডিংয়ের সংস্থাগুলিকে ঠিক মতো বিল পাঠানো হয়নি। যে কারণে গত দু’-তিন বছর ধরে হোর্ডিং থেকে পুরসভার আয়ের পরিমাণ কমেছে। সেটা কেন? বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজেরও উত্তর দেননি।
সল্টলেক ও রাজারহাট এলাকা বিপুল সংখ্যক বেআইনি হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই সব হোর্ডিং বৈধ করে পুরসভার তালিকাভুক্ত করতে পারলে, পুরসভার কোষাগার সমৃদ্ধ হবে বলেও মনে করেন পুরপ্রতিনিধিদের অনেকেই। তেমনটা হলে পুর এলাকার কোথায়, কোন হোর্ডিং রয়েছে, তা-ও পুরসভার নজরে থাকবে।
কারণ, অনেক সময়ে ঝড়ে হোর্ডিং ভেঙে পড়লেও সেটির মালিককে খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমন, আমপানের সময়ে বাগুইআটিতে উড়ালপুলের চেয়েও বেশি উচ্চতার একটি হোর্ডিং বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে পড়েছিল। সেটির সংস্থাকে সেই সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হোর্ডিং ব্যবসায়ীদের একাংশ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই ভাবে বেআইনি হোর্ডিং বসিয়ে দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy