Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Death

ঘর থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির দেহ

পুলিশ জানায়, আশিসের নিজের বলতে কেউ ছিলেন না। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আশিসের উপরে নির্যাতন চালাতেন বলে এ দিন পাড়ার লোকজন পুলিশের কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ০৮:২৯
Share: Save:

এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রবিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল নিউ টাউনের গোবিন্দনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আশিস রায় (৪০)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেই প্রাথমিক ভাবে দাবি করেছে পুলিশ। এ দিন দুপুরে ঘরের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, গরমে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। কারণ তিনি যে ঘরে থাকতেন, সেখানে পাখা ছিল না। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তাঁর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁর পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আশিসের নিজের বলতে কেউ ছিলেন না। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আশিসের উপরে নির্যাতন চালাতেন বলে এ দিন পাড়ার লোকজন পুলিশের কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। এমনকি আশিসের দেহ উদ্ধার করার সময়ে দুই দিদিকে ঘিরে প্রতিবেশীরা বিক্ষোভও দেখান। গোলমাল এড়াতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ দিন খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে, বিছানার উপরে পড়ে রয়েছে ওই ব্যক্তির দেহ।

আশিসের দুই দিদি পুলিশকে জানান, তাঁদের মা-বাবার অনেক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। কয়েক বছর আগে আশিসের স্ত্রীও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তার পর থেকেই তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গোবিন্দনগরের পৈতৃক ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। সেখানে ভাড়াটেও ছিলেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, আশিসের দিদিরা শুধু সেই ভাড়ার টাকা নিতে আসতেন। ভাইকে একটি ঘরে কার্যত আটকে রাখা হয়েছিল। আলো থাকলেও পাখা ছিল না। এক প্রতিবেশী তাঁকে আলুসেদ্ধ ও ভাত দিয়ে যেতেন।

যদিও এ বিষয়ে কেউ লিখিত কোনও অভিযোগ করেননি বলেই দাবি পুলিশের। এমনকি পুলিশের কাছে দুই দিদি দাবি করেছেন, তাঁরা অনলাইনে ভাইয়ের জন্য খাবার অর্ডার করে দিতেন। ভাইয়ের উপরে অত্যাচারের অভিযোগও পুলিশের কাছে তাঁরা অস্বীকার করেছেন বলেই দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE