জগদীশ মল্লিক।
নিজের বাড়িতে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যবসায়ী। শনিবার রাতে, বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের বিধানপল্লিতে। পুলিশ জানায়, বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় জগদীশ মল্লিক (৭২) নামে ওই বৃদ্ধের দেহ । তাঁর হাত বাঁধা ছিল, মুখও কাপড় দিয়ে বন্ধ করা ছিল। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, প্রাথমিক ভাবে তাঁরা মনে করছেন, সম্পত্তি নিয়ে কোনও সমস্যার জেরেই জগদীশবাবু খুন হয়েছেন। খুনি তাঁর পরিচিত বলেও মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, জগদীশ মল্লিক তৃণমূলের পুরনো কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় তাই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ‘ছোটুদা’ নামে পরিচিত ওই ব্যবসায়ী নিজের চালের দোকান বিক্রি করতে চাইছিলেন। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হল কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পুলিশ জানায়, স্ত্রীর মৃত্যুর পরে জগদীশবাবু একাই থাকতেন। দুই নাতি তাঁর দেখাশোনা করতেন। ঘটনার রাতেও তাঁরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাই প্রাথমিক ভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁদেরই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সূর্যপ্রকাশ যাদব জানান, বৃদ্ধের ছেলে বিশ্বজিৎ মল্লিক অভিযোগে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বাবার সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি খবর পান। জগদীশবাবুর বাড়িতে পৌঁছে তিনি দেখেন, তাঁর বাবা হাত, মুখ বাঁধা অবস্থায় শৌচাগারের ভিতরে পড়ে রয়েছেন।
পুলিশ পৌঁছে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, খুনের আগে বা পরে দুষ্কৃতীরা একটি ঘরে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। আসবাব-সহ অন্য জিনিসপত্র তছনছ করা হয়েছে। আলমারিও ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। উধাও একটি দলিলও। বাড়ির দোতলা থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা জানান, দোতলার একটি জানলা তালা লাগানো গেটের মতো করা। সেটি খোলা ছিল। পাশেই রয়েছে একটি গাছ। পুলিশের ধারণা, ওই গেটের তালা খুলে দুষ্কৃতীরা গাছ বেয়ে নেমে যায়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা পার্থ সরকার জানান, ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি প্রাক্তন দলীয় কর্মীর বাড়িতে ছুটে আসেন। পার্থের কথায়, ‘‘পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে লরিতে চাল নিয়ে দোকানে যাওয়ার সময়ে খালাসি জগদীশবাবুকে ফোন করেন। জগদীশবাবু খালাসিকে জানান, খাওয়া সেরে দোকানে পৌঁছবেন। কিন্তু পরে ওই খালাসি জগদীশবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। সেই সময়েই ঘটনাটি জানাজানি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy