অপরিষ্কার: ব্রিগেডে সভার এক দিন পরে পড়ে রয়েছে থার্মোকলের থালা-বাটি। সোমবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ব্রিগেড ময়দানে বিজেপির সভা শেষ হয়েছে রবিবার বিকেলে। অথচ সোমবার কেটে গেলেও ময়দানের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শেষ হয়নি। বিজেপির দাবি, বড় ময়দান সাফাই করতে সময় লাগবে।
রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ ব্রিগেড ময়দানে বিজেপির সভা শেষ হয়েছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছিল গোটা ময়দান আবর্জনায় ভরে রয়েছে। কাগজের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস, বোতল—কিছুই বাদ ছিল না। আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দু’দিকেও। সোমবার ব্রিগেডে গিয়ে দেখা গেল বিকেল গড়ালেও ময়দানের হাল বিশেষ ফেরেনি। বেশ কিছু জায়গায় এ দিনও আবর্জনা জমে ছিল। যা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ময়দানে বেড়াতে এবং খেলতে আসা লোকজন।
সভা শেষ হওয়ার এক দিন পরেও ব্রিগেডে আবর্জনা সাফাই হল না কেন?
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘আবর্জনা পরিষ্কার করতে এখনও সময় লাগবে। এত বড় মাঠ। আমাদের কাজ চলছে।’’
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের অভিযোগ, ‘‘সভা শেষ হওয়ার এক দিন পরেও ময়দানে জঞ্জাল সাফাই হল না। অথচ জাতীয় পরিবেশ আদালত ব্রিগেডে শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই আদালতের নির্দেশ মানছে না। এ রকম চলতে থাকলে শীঘ্রই আদালতে ফের মামলা করব।’’
প্রসঙ্গত, ব্রিগেডে রাজ্যের শাসক দলের সভা হলে সে দিনই পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ ময়দান সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেয়। বিরোধীদের অভিযোগ, তারা সভা করলেই তখন পুরসভা জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে তৎপরতা দেখায় না। তাদের প্রশ্ন, ‘‘শাসক দল হলে সুবিধা পাবে। অথচ বিরোধী দলের সভা হলে কেন পুরসভা দায়িত্ব নেবে না?’’
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত মজুমদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy