—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মোটর যান বিধি মেনে তিন বছর আগে ‘টোটো’ নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি করে দিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব। সব জেলাশাসক এবং জেলার আরটিএ-কে (রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। হাওড়ার ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা মেনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ৭ ডিসেম্বর তা রিপোর্ট আকারে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিংহ।
চলতি বছরের মার্চে হাওড়ার আরটিএ পাঁচ হাজারের বেশি টোটোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই সব টোটো ‘স্ক্র্যাপ’ করা হবে বলে আরটিএ জানায়। এর পরেই হাওড়া শহরের এক টোটোচালক তাঁর টোটোকেও স্ক্র্যাপ করা হতে পারে এই আশঙ্কায় হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী অরিজিৎ বক্সী মঙ্গলবার জানান, তাঁর মক্কেল ২০১৫ সালে গাড়িটি কেনেন। হাওড়ার জেলাশাসক ২০১৭-র ২৯ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, ২০১৬-র ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যাঁরা টোটো কিনেছেন, তাঁদের অস্থায়ী ‘আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ নিতে হবে। ১ হাজার ৮২৬ টাকা জমা দিয়ে তাঁর মক্কেল হাওড়া পুরসভা থেকে ওই নম্বর নেন। পুর কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, ওই নম্বর না থাকলে লাইসেন্স বা রুট পারমিট মিলবে না।
অরিজিৎ জানান, ২০১৫ সালে পরিবহণ সচিব যে নির্দেশিকা তৈরি করে দেন, তাতে সব টোটোকে স্ক্র্যাপ করার কথা বলা নেই। কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ই-রিকশায় রূপান্তরিত করার সুযোগ রয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তাতে এ-ও বলা রয়েছে, মডেল অনুযায়ী টোটোর শংসাপত্র নিতে হবে কেন্দ্রের কাছ থেকে।
গত ২৯ নভেম্বর শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন জানান, টোটো যানজটের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টিও প্রশাসনের দেখা উচিত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ডিসেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy