প্রতীকী ছবি।
শহরে একটি অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতকে বিপথে চালিত করা এবং পরোক্ষে অভিযুক্তদের সাহায্য করার অভিযোগ উঠল।
নরেন্দ্রপুরে এক পরিচারিকাকে অপহরণের চেষ্টা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশের কাছে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হলেও তারা তা দিতে চায়নি। এমনকি আদালত মামলাটির রিপোর্ট চেয়ে পাঠালে, নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ আদালতকেও বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি জানান, গত ১৯ এপ্রিল এই ঘটনার যে রিপোর্ট আদালতের কাছে জমা পড়েছে, তাতে অনেক খামতি রয়েছে। যিনি ওই রিপোর্ট দিয়েছিলেন, সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথা মামলার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে এর পর বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি এ ব্যাপারে ডিজিপি-র কাছেও রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।
নরেন্দ্রপুরের ঘটনাটিতে যে পরিচারিকাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল, তাঁর নাম মধু সিংহ। আদালতকে মধু অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর অপহরণের তদন্তভার যেন তদন্তভার নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিআইডিকে দেওয়া হয়। বুধবার বিচারপতি রাজশেখর তাঁর অনুরোধ মেনে নেন। তিনি ওই মামলা সিআইডিকে হস্তান্তর করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, মামলাটি উচ্চপদস্থ কোন পুলিশ আধিকারিকের দেখা উচিত। তবে আপাতত মামলার সব নথি, নরেন্দ্রপুর থানার আইসি-র রিপোর্ট এবং ১৯ এপ্রিলের রিপোর্টটি সবার আগে ডিজিপিকে পাঠাতে হবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুরের ঘটনাটি ঘটে গত ৩ ফেব্রুয়ারি। মধু নামের ওই পরিচারিকাকে গাড়ি নিয়ে এসে অপহরণ করার চেষ্টা করেন ছ’জন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে তারা ব্যর্থ হন। অপহরণকারীদের একজন ধরাও পড়েন এলাকাবাসীর হাতে। কিন্তু তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে তারা এই তদন্তে অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, বিনোদ যাদব নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এবং গাড়ি থেকে একাধিক সামগ্রী পাওয়া যায়। সেই সব জিনিস বাজেয়াপ্তও করে পুলিশ। কিন্তু রিপোর্টে শুধু গাড়ির কথাই লেখা হয়।
পরে পুলিশের কাছে অপহরণের চেষ্টার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য আবেদন করা হলেও তারা তা দেয়নি।
মধু জানিয়েছেন, ওই ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাঁকে পথে বিরক্ত করছিল দুষ্কৃতীদের কয়েকজন। তিনি যাঁর বাড়িতে কাজ করেন, সেই শশাঙ্করাজ সাহুর ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। কথা বলতে না চাইলে ঘুষের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। পরে শশাঙ্কের বাড়িতে গিয়েও দুষ্কৃতীরা খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy