বুধবার আদালতে সাম্বিয়া। নিজস্ব চিত্র।
রেড রোড গাড়ি কাণ্ডে তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়াকে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি দিল আদালত। বাকি তিন অভিযুক্ত শাহনওয়াজ খান, নুর আলম ওরফে জনি এবং মহম্মদ সোহরাব (সাম্বিয়ার বাবা)কে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত।
রেড রোড কাণ্ডে তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ এনেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এই ধারাতেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় এবং চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। আজ কলকাতা নগর দায়রা আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এর বদলে ৩০৪-এ এবং ৪২৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন সাম্বিয়াকে।
আজ বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য ৩০৪-এ ধারায় সাম্বিয়াকে দুই বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দেন। অন্য দিকে ৪২৭ ধারায় সাম্বিয়াকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেন তিনি। পাশাপাশি এক লক্ষ দশ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয় সাম্বিয়াকে।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জেলবন্দি সাম্বিয়া। অর্থাৎ, দু’বছরেরও বেশি জেল খাটা হয়ে গিয়েছে তার। সেই হিসেবে আজ জরিমানার টাকা জমা দিলেই সরাসরি আদালত থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে সাম্বিয়া।
আজ রায় ঘোষণা করার সময় এই মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য। পুলিশ যে অভিযোগ এনেছে, তার সপক্ষে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে না পারায় সবার সামনেই এই মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
তিন বছর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের কয়েকদিন আগে জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ রেড রোডে সেনাবাহিনীর মহড়া চলার সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রবল গতিতে রেড রোডে ঢুকে পড়ে একটি সাদা রঙের অডি কিউ-৭ গাড়ি।
সকাল ৬টা থেকে ৬টা১০ মিনিটের মধ্যে ঢুকে পড়া ওই বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান বায়ুসেনা কর্মী অভিমন্যু গৌড়। ওই বায়ু সেনা কর্মীকে ধাক্কা মেরে পালানোর সময় আরও একজন সেনা কর্মীকে ধাক্কা মেরে রেস কোর্সের কাছে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় ওই গাড়ির চালক এবং আরোহীরা।
পরবর্তী তদন্তে জানা যায় ওই ঘাতক গাড়িটি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন বিধায়ক এবং বড়বাজারের ফল ব্যবসায়ী মহম্মদ সোহরাবের ছোট ছেলে তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়ার। সেই ছিল চালকের আসনে। তার আগে সাম্বিয়ার দুই বন্ধু নূর আলম ওরফে জনি এবং শাহনওয়াজ ওরফে শানু অন্য একটি গাড়িতে ছিল।
শহরের প্রতি মুহূর্তের হেডলাইন, কলকাতার যে কোনও ব্রেকিং নিউজ পেতে ক্লিক করুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy