প্রতীকী ছবি।
মুদিয়ালির নির্মীয়মাণ বহুতলে শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকাংশই তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিকট শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে নীচে নেমে আসেন তাঁরা। দেখেন, নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচে তাঁদেরই এক সহকর্মী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আহত শ্রমিককে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রশান্ত বিশ্বাস (৩২)। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। পিএসসি-র সদর দফতরের ঠিক উল্টোদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের পাশেই সতেরোতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় ষাট জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত। তাঁরা ওখানেই রাতে থাকেন। বাড়িটির ষোলোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রতিটি তলার চারপাশের পাঁচিল তোলার কাজ এখনও বাকি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়িটির তিনতলা থেকে পড়ে যান প্রশান্ত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রশান্ত নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনতলায় পাঁচিলের কাজ না হওয়ায় মত্ত অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে যান তিনি। তিনতলা থেকে মদের বোতল উদ্ধার করেছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। নির্মীয়মাণ বাড়িটির নীচে উদ্ধার হয়েছে মৃতের চটি। পুলিশের অনুমান, রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনতলা থেকে মুত্রত্যাগ করতে গিয়ে ওই যুবক নীচে পড়ে যান।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক দল এবং টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। নির্মীয়মাণ বাড়িটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফরেন্সিক বিজ্ঞানী মীর ওয়াসিম রাজা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় উপর থেকে পড়ে গিয়েছেন যুবক। আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি।’’ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটিতে রাতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাড়িটির সাইট ইঞ্জিনিয়ার তিতাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রবিবার দুপুর একটার পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে আসেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy