—প্রতীকী ছবি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি ভাবে বিদেশি সিগারেট পাচারের ক্ষেত্রে কলকাতাকে মজুতঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ শুল্ক দফতরের।
প্রাথমিক তদন্তে আধিকারিকদের অনুমান, মায়ানমার লাগোয়া মণিপুরের মোরে সীমান্ত দিয়ে এই বিদেশি সিগারেট ভারতে ঢুকছে। তার পরে বদরপুর হয়ে সড়কপথে তা পৌঁছচ্ছে আগরতলায়। তার পরে গুয়াহাটি হয়ে ট্রেনে করে আসছে কলকাতায়। শুল্ক আধিকারিকদের সন্দেহ, কলকাতার বুকেই কোথাও মজুত করে রাখা হচ্ছে সেই সিগারেট। পরে সুবিধামতো তা পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
গত ২৩ জানুয়ারি হাওড়া স্টেশন থেকে ৬০০ কার্টন বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত করে শুল্ক দফতর। অনুমান, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই তা কলকাতায় পৌঁছেছিল এবং শহরেই মজুত করে রাখা হয়েছিল। গত নভেম্বরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ১৫৯ কার্টন বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত হয়, যা নিয়ে আসছিলেন এক মহিলা। সেই সিগারেটও কলকাতায় মজুত করে পরে অন্যত্র পাঠানোর কথা ছিল বলে সন্দেহ আধিকারিকদের। গত অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত বেআইনি ভাবে ভারতে ঢোকা প্রায় ১ কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি শুল্ক আধিকারিকদের।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, মূলত কোরিয়া, চিন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এই সিগারেট ভারতে ঢুকছে। কোরিয়া থেকে আসা এই সিগারেটের চাহিদা রয়েছে উচ্চবিত্তদের মধ্যে। ইন্দোনেশিয়া ও চিন থেকে আসা লবঙ্গ স্বাদযুক্ত সিগারেটের দাম তুলনায় কম হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানার শহরতলিতে এর চাহিদা তৈরি হয়েছে। শুল্ক আধিকারিকদের অভিযোগ, চোরাই পথে বিদেশি সিগারেট দেশে ঢোকায় ১২০ শতাংশ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে কেন্দ্রের। নিয়মানুযায়ী, ভারতে তৈরি বা বিক্রি হওয়া সিগারেটের প্যাকেটের ৮৫ শতাংশ অংশ জুড়ে ক্যানসার সংক্রান্ত বিধিসম্মত সতর্কীকরণ থাকতে হবে। কিন্তু পাচার হওয়া এই বিদেশি সিগারেটের প্যাকেটে থাকছে না তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy