Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Calcutta News

ফের আসব কলকাতায়, হৃদ্‌য় পাল্টে বললেন দিলচাঁদ

২১ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে এ দিনই দেওঘরে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন দিলচাঁদ সিংহ। হাসপাতাল থেকে সড়কপথে গাড়িতে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। নিজের ভাই ছাড়াও দিলচাঁদের সঙ্গে আছেন হাসপাতালের এক জন নার্স।

দিলচাঁদ সিংহ।

দিলচাঁদ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০৬:৩৬
Share: Save:

হৃদ্‌যন্ত্রের সফল প্রতিস্থাপনের পরে প্রথম বার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে আঙুল উঁচিয়ে জয়ের চিহ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। রবিবার ইএম বাইপাসে আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে ফেরার সময় স্কুলশিক্ষক দিলচাঁদ সিংহ বলে গেলেন, ‘‘আবার কলকাতায় আসতে চাই। এই শহরই তো আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছে।’’

২১ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে এ দিনই দেওঘরে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন দিলচাঁদ সিংহ। হাসপাতাল থেকে সড়কপথে গাড়িতে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। নিজের ভাই ছাড়াও দিলচাঁদের সঙ্গে আছেন হাসপাতালের এক জন নার্স। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ জানান, হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপনের পরে সংক্রমণ রুখতে সর্বাঙ্গীণ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। সেই জন্যই দিলচাঁদের সঙ্গে এক জন নার্স দেওয়া হয়েছে। ওই নার্সই দিলচাঁদের পরিবারকে শেখাবেন, সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করা প্রয়োজন। হাসপাতালের চিকিৎসক এম কে মান্দানা বলেন, ‘‘দিলচাঁদ এখন সুস্থ। সংক্রমণের ব্যাপারে আমরা সচেতন। বাড়ি ফিরে গেলেও আমাদের সঙ্গে দিলচাঁদের যোগাযোগ থাকবে।’’

দক্ষিণ ভারতে হৃৎপিণ্ডের সফল প্রতিস্থাপনের নজির থাকলেও পূর্ব ভারতে দিলচাঁদই প্রথম, যাঁর হৃদ্‌যন্ত্র সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। বরুণ ডিকে নামে বেঙ্গালুরুতে পথ-দুর্ঘটনায় আহত এক যুবকের ‘ব্রেন ডেথ’-এর পরে তাঁর আত্মীয়স্বজন অঙ্গদানে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বরুণের হৃৎপিণ্ড বিমানে আনা হয় কলকাতায়। সেটিই দিলচাঁদের শরীরে বসানো হয়েছে। প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন চিকিৎসক মান্দানা। এ দিন তিনি জানান, দেওঘরে পৌঁছে প্রথমে মন্দিরে যাবেন দিলচাঁদ। সেখান থেকে ফিরবেন বাড়িতে। আপাতত পরিবারের সঙ্গে দেওঘরের বাড়িতেই থাকবেন দিলচাঁদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dilchand Singh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE